সংক্ষিপ্ত

চতুর্থ দফা শীতলকুচিতে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে চলছে বিতর্ক

তার মধ্যেই আরও আধাসামরিক বাহিনী আসছে রাজ্যে

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে কী নির্দেশ দিল কমিশন

চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচি কাণ্ডকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীরর গুলিচালনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বাহিনীর গুলিতেই চারজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে, পশ্চিমবঙ্গে আরও বেশ কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন।

সরকারি সূত্রে খবর চতুর্থ দফার ব্যাপক হিংসা চিত্র দেখার পরই এদিন বাকি চারটি পর্যায়ের নির্বাচনের জন্য আরও অতিরিক্ত ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শনিবার, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহহিনীই গুলি চালিয়েছে বলে মেনে নিয়েছে কমিশন। কিন্তু, সেই ঘটনায় আগে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীই হামলার শিকার হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের  দাবি, বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই কারণেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় সিআইএসএফ কর্মীরা।

চতুর্থ দফা পর্যন্ত রাজ্যের ২৯৪ আসনের নির্বাচনের জন্য মোট এক হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতাায়েন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্ত্রক যত দ্রুত সম্ভব অতিরিক্ত বাহিনীকে পাঠাতে বলা হয়েছে। নতুন ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ৩৩ কোম্পানি বিএসএফ, ১৩ কোম্পানি আইটিবিপি, ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৯ কোম্পানি এসএসবি এবং সিআইএসএফ-এর ৪টি কোম্পানি আসছে। এইএক এক কোম্পানিতে ৮৫ জন কররে জওয়ান থাকবেন।

নিরাপত্তার কারণে এবার সব রেকর্ড ভেঙে আট দফায় ভোট করা হচ্ছে। এর মধ্যে এদিন চারটি দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গেল। পরবর্তী পর্বগুলির ভোট হবে যথাক্রমে ১৭ এপ্রিল, ২২ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল এবং ২৯ এপ্রিল। এবার ভোটে নজিরবিহীনভাবে ভোট শুরুর অনেক আগে থেকেই বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল স্পর্শকাতর বুথগুলিতে। কিন্তু, তারপরেও হিংসায় লাগাম লাগানো যায়নি।