সংক্ষিপ্ত

  •  পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে সরব বিজেপি সাংসদ জন বার্লা 
  •  'অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাই রাজ্য গঠনের প্রথম শর্ত 
  • 'তৃণমূল এই শর্ত ভাঙছে, তাই জনবিন্যাসে বদল আসছে'
  • পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের দিনেই মালব্য-র টুইটে জল্পনা
     

 'অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাই পশ্চিমবঙ্গ গঠনের প্রথম প্রয়োজনীয় শর্ত। তৃণমূল এই শর্ত ভাঙছে', টুইট মালব্যর। উল্লেখ্য, পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে সরব বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বিজেপি সকলের সঙ্গেই উন্নতি চায়। এহেন পরিস্থিতিতেই তাৎপর্যপূর্ণ টুইট করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। 

আরও পড়ুন, 'রাজ্যপাল ফোবিয়া শুরু হয়েছে তৃণমূলের', ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ 

 

 

অমিত মালব্য টুইটে জানিয়েছেন, 'অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাই পশ্চিমবঙ্গ গঠনের প্রথম প্রয়োজনীয় শর্ত। তৃণমূল এই শর্ত ভাঙছে। যার দরুণ জনবিন্যাসে বদল আসছে। পশ্চিমবঙ্গ কেবল একটি জমির টুকরো নয়, এমন একটি ধারণা যেখানে মুক্ত চিন্তাধারী বাঙালি হিন্দু বাস করতে এবং উন্নতি করতে পারে। এই ধারণা তৃণমূল লঙ্ঘন করছে।' উল্লেখ্য রাজ্যজুড়ে এদিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করছে বিজেপি। এমন দিনেই এই টুইট করলেন অমিত মালব্য। তার সঙ্গে একাধিক বিজেপি সাংসদের পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি উসকে দিয়েছে জল্পনা। তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। তিনি বলেছেন, সোমবার তৃণমূল ভবনে আমি এবং আরও কয়েকজন বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগদান করব। প্রথমে আমরা যোগদান করব। এরপর ডুয়ার্সের ধস নামবে।' 

আরও পড়ুন, ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য়, সোমবার মামলার শুনানি  


প্রসঙ্গত, শনিবারেই ইতিমধ্য়েই পুরুলিয়াতে ধস নেমেছে বিজেপিতে। জেলা পরিষধের অসংখ্য সদস্য পুরুলিয়া বিধানসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী সহ জেলা পরিষদের বিরোধী দল নেতা বিজেপির অজিত বাউরি সহ বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে জেলা পরিষদের আসনে নির্বাচিত চার সদস্য শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। মূলত বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার বেগে উঠেছে মুকুল যোগের পরেই। উল্লেখ্য এহেন পরিস্থিতি বুমেরাং পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ যখন আগের সুরে কথা বলছেন এবং মালব্য তখনই জনবিন্যাসের যুক্তি টানছেন, তখন যাবতীয় ইস্যুকে পরোয়া করছে না তৃণমূল। কুণাল ঘোষ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, আমার খারাপ লাগে যে গো-হারার পরেও এদের কোনও শিক্ষা হল না। একটা লজ্জা থাকে তো যে মানুষ তাড়িয়ে দিল। এখানে এরা বিভেদের বিষ ছড়াতে এসেছে। এই ধরণের অপচেষ্টাকে বাংলার মানুষ প্রতিহত করবেন।