সংক্ষিপ্ত
- বাগনানের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন
- এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বিদায়ী বিধায়ক
- এলাকায় এলাকায় ঘুড়ে প্রচার সারছেন অরুণাভ সেন
- নিজের জয়ের বিষয়ে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল প্রার্থী
সন্দীপ মজুমদারঃ বাগনানের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরুণাভ সেন জয় নিয়ে ভাবছেন না। ভাবছেন নিশ্চিত জয়ে ভোটের মার্জিন বাড়ানো নিয়ে। শনিবার দিদির ১০ অঙ্গীকারের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিশেষ প্রচার করলেন তিনি।
নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশিত হওয়ার আগেই দিদির ১০ অঙ্গীকার নামে এক নির্বাচনী চমক হাজির করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে ১০টি প্রতিশ্রুতির কথা লেখা ছিল। সেই অঙ্গীকার পত্র সামনে রেখেই অরুণাভর দাবি, প্রধান বিরোধী হিসেবে দাবি করা বিজেপি এখন ছত্রভঙ্গ। তারা নিজেরাই এখন নিজেদের দফতর ভাঙচুর চালাচ্ছে, বিক্ষোভ দেখাচ্ছে নিজের দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। আবার কংগ্রেসের হাওড়া জেলার নেতা সফিকুল ইসলাম সহ বেশ কিছু নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, যার ফলে শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে তাঁদের।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারিত দিদির ১০ অঙ্গীকারে যে সব প্রতিশ্রুতি ছিল, সেগুলি এরকম-
১. ৩৫ লক্ষ মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তি।
২. দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা ২০% থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা।
৩. রাজ্যে ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি।
৪. রাজ্যে বেকারত্বের হার অর্ধেকে নামানো।
৫. প্রতিটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মাসিক ৫০০ টাকা ভাতা।
৬. কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বছরে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন ৬৮ লক্ষ কৃষক।
৭. বড় শিল্পে ৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ। ১০ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ইউনিট তৈরি।
৮. প্রতিটি ব্লকে মডেল আবাসিক স্কুল তৈরি। সবল-যুব নামে নয়া প্রকল্প চালু। এই প্রকল্পে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হবে পড়ুয়াদের।
৯. বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১০ লক্ষ আবাসন তৈরি।
১০. প্রতিটি ঘরে জল ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া।