সংক্ষিপ্ত

  • 'রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করছে তৃণমূল'  
  • 'বাঙালির মান সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল'
  • ' শেষ বয়সে এত পাপ করবেন না' 
  • সুজাতা প্রসঙ্গে সৌগতকে আক্রমণ করলেন দিলীপ

'তৃণমূলের বুড়ো নেতাদের লজ্জা নেই'  সুজাতা প্রসঙ্গে সৌগতকে আক্রমণ করলেন দিলীপ।  'রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করছে তৃণমূল'বেহালা শ্রীসঙ্গে এসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাত্য বসু যে প্রেস কনফারেন্স করেছিলেন, তা নিয়ে মোক্ষম খোঁচা  দিলেন বিজেপির রাজ্য-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।   

 

দিলীপ বললেন, 'যারা এতদিন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। তাদের মনে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে কেউ ছিনিয়ে নিচ্ছে । এতদিন তো রবীন্দ্রনাথের গান রাস্তার সিগনাল ব্যবহার হচ্ছিল। এখন তাহলে কেন বন্ধ করে দেওয়া হল। তৃণমূলের টেন্ডেন্সি, ব্যবহার করব ছেড়ে দেব। তাই এতদিন রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা মহাপুরুষদেরকে যোগ্য সম্মান দিয়েছি।'  বিশ্বভারতী জমি মাফিয়াদের হাতে চলে যাচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সেটা যদি কেউ ঠিক করতে আসে তাহলে কি সেটা ভুল । দিদি কষ্ট পাচ্ছেন । নিজের দিকে তাকান দিদি, রবীন্দ্রনাথের ছবি নেওয়ার যোগ্যতা আপনাদের নেই। উনি  সরকারি প্রোগ্রামকে পারিবারিক প্রোগ্রাম করে নিয়েছেন।'

এরপর দিলীপ আরও বলেন,  'কাউকে সম্মান দেন না ওনার অসম্মান আরও বাকি আছে। তৃণমূলে লোক নেই। ওনারা সৌমিত্র বাবুর স্ত্রীকে গুরুত্ব দিয়েছেন।  তিনি সুজাতা প্রসঙ্গে আরও বলেন,  'ধিক্কার, আপনাদের লজ্জা করে না। তৃণমূলের বুড়ো নেতাগুলো অন্যের বউ নিয়ে পালাচ্ছে। বাঙালির মান সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে।'  এবং সৌগত রায়কে উদ্দেশ্য করে বললেন,' শেষ বয়সে এত পাপ করবেন না সৌগত বাবু.আপনারও ঘর সংসার রয়েছে।'

 
ছাত্রদেরকে ট্যাব দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেন দিলীপ, 'দিদি প্রথমে বললেন যে ট্যাব দেবেন যেই দেখলেন ১০,০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না ট্যাব, ওমনি ১০,০০০  নগদ দিচ্ছেন। সবই কাটমানি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা সিঙ্গুরের কৃষি হাব ঘোষণা নিয়ে বললেন- টাটা সিঙ্গুরের জমি না পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গুজরাটে জমি পেয়ে গেল। সিঙ্গুরে কি হয়েছে সেটা সবাই জেনে গেছে। গুজরাটে ন্যানো তৈরি হচ্ছে সেটা আমরা এখানে চড়ছি। সিঙ্গুরে কোম্পানি তৈরি হবে যারা ভাবছেন তারা দিবা স্বপ্ন দেখছেন। শুধু সিঙ্গুর নয় সিঙ্গুরে কারখানা যদি হতো আরও সহায়ক শিল্প হত মানুষের কর্মসংস্থান হত। সিঙ্গুরের উর্বর জমিতে এখন শুধু জঙ্গলের জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'