সংক্ষিপ্ত

  • আরামবাগে বিজেপির পার্টি অফিসে লাগিয়ে দেওয়া হল আগুন
  • দাউ দাউ করে জ্বলল পার্টি অফিস
  • গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে
  • অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল

রাজনৈতিক হিংসার শেষ নেই। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে রাজনৈতিক হিংসা ছড়িয়ে পড়ল হুগলি জেলার আরামবাগে। 

আরামবাগে বিজেপির পার্টি অফিসে লাগিয়ে দেওয়া হল আগুন। দাউ দাউ করে জ্বলল পার্টি অফিস। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। 

রাজ্য জুড়ে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। ট্রেন্ড মোটামুটি ভাবে স্পষ্ট হয়ে যায় বেলা গড়াতেই। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় উৎসব। চলে নাচ গান, সবুজ আবির খেলা। কিন্তু কোথাও মানা হচ্ছে না কোভিড বিধি। গোটা ঘটনায় বেশ বিরক্ত নির্বাচন কমিশন। 

বাংলার রায় স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে কর্মীদের সতর্ক করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কোনও রকম বিজয় উৎসব বা বিজয় মিছিলে গা ভাসাতে নিষেধ করেন তিনি। তবে রাজনৈতিক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে আরামবাগে।  

কমিশন পরিষ্কার জানিয়ে দেয় কোনও রকম বিজয় উৎসব করা যাবে না। জয় পালনের জন্য করা যাবে না জমায়েত। যারা এতে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি এফআইআর দায়ের করা হবে। যে সব প্রশাসনিক আধিকারিকরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজয় উৎসব হলে সংশ্লিষ্ট থানাকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, কোনও জমায়েত করা চলছে না। করা যাবে না কোনও বিজয় উৎসব। 

এদিকে, রবিবার ফলপ্রকাশের অপেক্ষা ছিল সারা বাংলা তথা দেশ। নীলবাড়িতে বিরাজ করবে কে, এ প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে ছিল ভোটবাক্সে। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সেই ট্রেন্ড দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যায় বেলা গড়াতেই। অবেশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এদিন ভাগ্য নির্ধারণ হয় বাংলার সব হেভিওয়েট প্রার্থীর। তবে গেরুয়া ঝড়ের যে আশা করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা, সেই আশায় কার্যত জল ঢেলেছে তৃণমূল।