সংক্ষিপ্ত
- মমতাকে 'জয় শ্রীরাম' লেখা চিঠি পাঠাবে বিজেপি
- 'জয় শ্রীরাম শুনলেই মমতা দিদি বিরক্ত হন'
- 'আসলে নেতাজিকেই অপমান করলেন দিদি'
- এই কর্মসূচির কারনও জানিয়েছেন তেজিন্দর
মমতাকে ১ লাখ 'জয় শ্রীরাম' লেখা চিঠি পাঠাবে বিজেপি। সামনেই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে নেতাজির জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া ঘটা জয় শ্রীরাম স্লোগান কাণ্ড অনেকটাই উসকে দিয়ে রাজ্য-রাজনীতির আবহাওয়াকে। এবার আবার বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বিজেপি মুখ্যপাত্র তেজিন্দর সিং বাগ্গা।
'জয় শ্রীরাম শুনলেই মমতা দিদি বিরক্ত হন'
বিজেপি এর কর্মসূচি নিয়ে তেজিন্দর সিং বাগ্গা বলেছেন, আমরা পোস্টকার্ডগুলিতে মমতা দিদির নাম এবং ঠিকানা লিখে সাধারণ মানুষের মধ্যে তা বিলি করছি। সকলে সেই কার্ডগুলিতে জয় শ্রীরাম এবং নিজেদের নাম লিখে পাঠিয়ে দেবেন।' পাশপাশি টুইট করে সকলকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সকলেই নিজেদের নিকটবর্তী পোস্ট অফিস থেকে কার্ড সংগ্রহ করে সেখানে জয় শ্রীরাম লিখে মমতা দিদির ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে পারেন। বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই একাধিক দলীয় কর্মী-সমর্থক মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানায় এই কার্ড পাঠাতে শুরু করেছেন।
'আসলে নেতাজিকেই অপমান করলেন দিদি'
এই কর্মসূচির কারনও জানিয়েছেন তেজিন্দর। তিনি বলেন জয় শ্রীরাম শুনলেই মমতা দিদি বিরক্ত হন। আমরা যদি ইতিহাসকে ফিরে দেখি, তাহলে দেখব, তিনি অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করতে গিয়ে বারবার হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করেন তিনি।' ভিক্টোরিয়ায় জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কের প্রসঙ্গে তেজিন্দর বলছেন, ভিক্টোরিয়ায় উপস্থিত সাধারণ দর্শক উৎসাহিত হয়ে এই স্লোগান দিয়েছেন। কোনও বিজেপি কর্মী বা নেতারা একাজ করেননি। মমতা দিদির বক্তব্য রাখা উচিত ছিল। কেন্দ্র তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এভাবে বক্তব্য না রেখে বয়কট করে আসলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকেই অপমান করলেন দিদি।
স্লোগান কাণ্ড, মমতার পাশে ফিরহাদ-মহুয়া-সুমনরাও
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মঞ্চে ওঠার সময় দর্শকাসন থেকে শুনতে পাওয়া যায়, জয় শ্রীরাম ধ্বনি। আর তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মমতা। তিনি বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়, আমার মনে হয়, সরকারি অনুষ্ঠানের মর্যাদা রাখা উচিত। আমি তো ঋণী যে, নেতাজির জন্মদিনে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা যায় না। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই।' এরপর আর কোনও কথা না বলে কোনও কথা না বলে 'জয়হিন্দ' বলে সিটে বসে পড়েন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরপর এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন ফিরহাদ থেকে মহুয়া মিত্র, নুসরত জাঁহানরা এবং গড়িয়াহাটে রবিবার প্রতিবাদ জানিয়ে 'জয় বাংলা' লিখে ধরনায় নামেন কবীর সুমন সহ সায়নীরাও।