সংক্ষিপ্ত

  • বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য মেদিনীপুরে
  • অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে 
  • তবে অভিযোগ অস্বীকার পুরোপুরি করেছে তৃণমূল  
  • রাত তিনটে বেরিয়ে আর ফেরেননি ওই বিজেপি কর্মী 


বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির  ভূতপিনগরে। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে ওই যুবককে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

আরও পড়ুন, দিলীপের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১৬, আজ রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ BJP-র 

 

 


জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম শম্ভু বারুই। গড়বাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বংশীধর এলাকার বাসিন্দা।  বৃহস্পতিবার সকালে ভূপতিনগরের গড়বাড়ি এলাকায় রেল লাইনের ধারে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  খবর দেওয়া হয় থানায়। দেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশকে ঘিরে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। পরিবারের তরফ থেকে জানা গেছে, গতকাল তাঁদের বাড়ির পাশে পুজো হচ্ছিল। রাত তিনটে নাগাদ ফোন করে শম্ভুকে কেউ একজন ডেকে পাঠায়। তখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শম্ভু। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে ওই যুবককে। আর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে রেল লাইনের ধারে মাঠে।ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত রয়েছে বলেই দাবি বিজেপি নেতাদেরও। তাঁদের কথায়, 'এলাকার বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন শম্ভু। সেই কারণেই তৃণমূলের তরফে খুন করা হয়েছে।' অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি শাসকদলের।

আরও পড়ুন, আজ CBI দফতরে সঙ্গী গুরুপদর মুখোমুখি লালা, অনুপ মাজির রক্ষাকবচ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট  

 

 
 প্রসঙ্গত, সূত্র মারফত খবর যে, গত একমাসে ১৯ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। একবারে ভোট শুরু হতেই এর আগে রাজ্যে  প্রথম দফার ভোটের সকালেই কেশিয়াড়ি উদ্ধার হয় এক বিজেপির কর্মীর দেহ। এরপর দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে এগরায় এক বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উটে আসে। পাশপাশি নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগও ওঠে।  তৃতীয় দফার আগের রাতে বিজেপি কর্মীর মাকে খুন এবং তৃতীয় দফার সকালে বীরভূমের দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। এখানেই শেষ নয়, ভোট শুরু হওয়ার একেবারে মুখে বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয় দিনহাটা-শালবনীতেও। প্রতিবারেই অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকেই। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেছেন, ' আমার পার্টির ১৩০ জনের বেশি কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের একেবারে দোরগড়ায় ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আমি বাংলার জনতার কাছে আবেদন জানাতে চাই-বাংলার রাজনৈতিক হিংসা বিজেপি ছাড়া কেউ বন্ধ করতে পারবে না।'

 

আরও পড়ুন, Election Live Update-ডোমজুড়ে মমতা-দিনহাটায় রোড শোয়ে নাড্ডা, ওদিকে হাওড়ায় যোগীর পাল্টা জয়া