সংক্ষিপ্ত

  • এক দশকের বেশি পেরিয়ে গিয়েছে রিজওয়ানুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর
  • কলকাতা সহ বাংলা উত্তাল হলেও পুলিশ কমিশনার জানিয়ে দেন এটি আত্মহত্যার ঘটনা
  •  ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে অনেকটাই এগিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র
  • বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে এখান থেকে ৫৫ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন

তাপস দাস: রিজওয়ানুর রহমানকে মনে আছে? এক দশকের বেশি পেরিয়ে গিয়েছে রিজওয়ানুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর। লাক্স কোজি সংস্থার মালিক অশোক টোডির মেয়ে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করেছিলেন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রাইভেট সংস্থার কর্মী রিজওয়ানুর। বিয়ের কথা শ্বশুরবাড়িতে জানানোর কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁকে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগে কলকাতা সহ বাংলা উত্তাল হলেও পুলিশ কমিশনার জানিয়ে দেন এটি আত্মহত্যার ঘটনা। সিবিআই তদন্তও সেভাবেই শেষ হয়, তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের হয় অশোক টোডি ও তাঁর পরিবারের লোকজনের নামে। 

আরও পড়ুন-'অন্যরকম ভোট হচ্ছে', কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জের পর বলল গ্রামের মানুষ...

২০১১ সালের নির্বাচনে রিজওয়ানুরের দাদা রুকবানির রহমানকে ভোটে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। নদিয়া জেলার চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ান রুকবানুর। মাত্র আড়াই হাজারের মত ভোটে তিনি হারিয়ে দেন সিপিএম প্রার্থীকে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও একই দলের একই প্রার্থীকে হারান তিনি। এবার জয়ের ব্যবধান অনেকটাই বাড়িয়েও নেন। ১৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতেন তিনি। 

আরও পড়ুন-'নির্বাচনে হিংসা চাই না', ষষ্ঠ দফায় রাজ্যে এসে কড়া বার্তা অমিত শাহ-র...

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনের বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ৭০৭৮ ভোট। ২০১৬ সালে বিজেপি প্রার্থী পান প্রায় ১৫ হাজার ভোট। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে অনেকটাই এগিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তবে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে এখান থেকে ৫৫ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এবার এই কেন্দ্রটি সংযুক্ত মোর্চার তরফে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল আইএসএফকে। তারা যাঁকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক উঠেছে মোর্চার মধ্যেই। প্রার্থী কাঞ্চন মৈত্র ২০০১ সালে এই চাপড়া কেন্দ্র থেকেই বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ২০০৬ সালে ফের তিনি ভাগ্যপরীক্ষা করেন বিজেপির হয়ে, শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে। সেবারেও তাঁর হাত শূন্যই থেকেছিল। 

কংগ্রেস ও সিপিএম, দু পক্ষেরই স্থানীয় নেতারা এই প্রার্থী নিয়ে আপত্তি তুলেছেন, প্রচারে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এরপর সিপিএমের তরফে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে জাহাঙ্গির বিশ্বাসকে। কাঞ্চন মৈত্রও অবশ্য প্রার্থী হয়েছেন, তাঁর দলের নাম রাষ্ট্রীয় মজলিস সেকুলার পার্টি। তৃতীয় ফ্রন্টের অন্দরের কোন্দল এই আসনে স্পষ্ট ফুটে বেরিয়েছে, যার প্রভাব নিশ্চিত ভাবেই পড়বে ভোটের ফলে। সে প্রভাবের জেরে ভোটের ফল কোনদিকে যায়, তা অবশ্য বলা মুশকিল। এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে ষষ্ঠ দফায়, ২২ এপ্রিল।