সংক্ষিপ্ত

  • চেতলায় রুদ্রর ফ্লেক্স ছেঁড়া নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ
  •  হামলায় আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল সহ আরও ১৫ জন  
  • 'ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল' 
  •  'মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছে', অভিযোগ রুদ্রনীলের


চেতলায় অধিক রাতে হামলায় আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল।  তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে দফায় দফায় চলতে থাকে সংঘর্ষ আর ইট বৃষ্টি। ভাঙচুর চলে একাধিক গাড়িতেও। আক্রান্ত হন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল সহ আরও ১৫ জন। ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল। দীর্ঘসময়ের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন, একদিনে আক্রান্ত ২৮০০ ছুঁইছুঁই, কোভিড-চিকিৎসায় হাসপাতাকেগুলিকে জরুরী নির্দেশ নবান্নের 

 

 

বৃহস্পতিবার অধিক রাতে, বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের ফ্লেক্স ছেঁড়াকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে ওঠে চেতলা এলাকা। মুহূর্তেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে দফায় দফায় চলতে থাকে সংঘর্ষ আর ইট বৃষ্টি। ক্রমশ বড় আকার নিতেই আক্রান্ত হন রুদ্রনীল।  এই ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ও ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভবানীপুরের প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, 'হার নিশ্চিত জেনেই ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। প্রায় ২৫০ জন ছেলে মিলে হামলা চালিয়েছে। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। মহিলারা রুখে না দাঁড়ালে ভয়ঙ্কর হতে পারত।'

আরও দেখুন, Election Live Update- রাত পেরোলেই রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট, আজ প্রচারের ঝড় তুলবেন মমতা- শাহ-নাড্ডা

  

 


 যদিও অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে দিয়েছে।  এদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়। এলাকার সিসটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের খুঁজে বার করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ভোটের মাঝে অবিরাম আক্রান্ত কখনও বা খুন হচ্ছে বিজেপি কর্মী। পরিসংখ্যান বলছে,  গত একমাসে ১৯ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। একবারে ভোট শুরু হতেই এর আগে রাজ্যে  প্রথম দফার ভোটের সকালেই কেশিয়াড়ি, দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে এগরায় এক বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন-নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ,  তৃতীয় দফার আগের রাতে বিজেপি কর্মীর মাকে খুন, তৃতীয় দফার সকালে বীরভূমের দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার আগে দিনহাটা-শালবনীতেও বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রতিবারেই অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকেই।