সংক্ষিপ্ত
- 'সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম'
- 'ওরা পুলিশে কোনও অভিযোগ করেনি'
- 'পরিবারকে চাকরি দিতে রাজি আছি'
- মইদুলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মমতার
' মৃত্যু সবসময় দুঃখ্যের', মইদুলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মমতার। নবান্ন অভিযানে গিয়ে বাম যুবকর্মীর মৃত্যু পর শোকপ্রকাশ করে পরিবারকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন, ৫ টাকা ডিম-ভাত খাওয়ানো নিয়ে তীব্র কটাক্ষ, নাম না করে মমতাকে নিশানা দিলীপের
এদিন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন,' মৃত্যু সবসময় দুঃখ্যের। আমি সকালে সুজন চক্রব্রতীকে ফোন করেছিলাম। বলেছি, কীভাবে মারা গিয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে। ওরা পুলিশে কোনও অভিযোগ করেনি। দুই দিন আগে বাড়ির লোককেও জানানো হয়নি।আমি সুজন চক্রবর্তীকে বলেছি, পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি একজন সদস্যকে চাকরি দিতে রাজি আছি। আর্থিক সাহায্য করতেও রাজি আছি।
আরও পড়ুন, 'চোর বিধায়ককে আর চাই না', ফের পোস্টার পড়ল জিতেন্দ্র তেওয়ারীর বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে
যদিও এই ঘটনায় সিপিএম বিধায়ক তথা বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,'এটা একটা খুন। বাঁকুড়া গ্রামের ছেলে চাকরি চাইতে এসেছিলেন। বুকে-পিঠে- ঘিরে মেরেছে। সরকার তার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। খুনি সরকার। মানুষের কথা শোনার মতো কোনও সুযোগই রাখে না এই সরকার।' শমীক লাহিড়ী জানিয়েছেন, ওরাতো কর্ম সংস্থানের জন্য গিয়েছিল। আর সেখানে পুলিশ এভাবে নির্যাতন করল।এতো ঠান্ডা মাথায় খুন। এরপরে তিনি বলেন পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত।কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, কোনও চুরি করতে যায়নি ওরা। অধিকারের দাবিতেই পথে নেমেছিল। প্রশাসনের কাউকে মারধর করেনি। কোথাও আগুন জ্বালায়নি। এর কী জবাব দেবে তাহলে এই স্বৈরাচারি সরকার।
উল্লেখ্য, বছর একত্রিশের মৃত ওই ডিওয়াইএফআই যুব কর্মীর নাম মইদুল ইসলাম মিদ্যা। তিনি বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা । পেশায় অটো চালক মইদুল ইসলামের দুটি সন্তানও রয়েছে। নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জে গুরুতর জখম হন বলে অভিযোগ উঠেছিল বাম সংগঠনের তরফে। অভিযোগ, পুলিসের লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাঁকে ঘিরে ধরে মারা হয় । নার্সিংহোম সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিসের লাঠির আঘাতে প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বের হয়ে যায় সেদিন। পেশিতে চোট লাগায় কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায় তার। এরপর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সোমবার সকালেই প্রাণ হারান তিনি।
প্রসঙ্গত, ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও শিল্পের দাবি নিয়ে ধর্মতলা অভিযান করে ১০টি বামপন্থী দল একসঙ্গে জোট হয়ে। কলেজস্ট্রিট থেকে শুরু হয় মিছিলটির যাত্রাপথ এস এন ব্যানার্জী রোড দিয়ে ধর্মতলার ক্রসিং এ আটকে বেরিকেড দিয়ে বাঁধা দেয় পুলিশ। ধর্মতলায় অ্যালুমিনিয়াম শিট দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে ঘিরে রেখেছিল। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করার চেষ্টা করলেই পুলিশ বাঁধা দেয়। এরপরে দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। বাম যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা কলকাতার ধর্মতলা চত্বর। পুলিশ গ্রেপ্তার করে প্রায় ১০০ জনের বেশি।পুলিসের লাঠিচার্জে আহত হন অসংখ্য এসএফআই, ডিওয়াইএফআই সহ একাধিক দলের কর্মীরা। ঘটনাকে কলঙ্কিত জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আর সেই নবান্ন অভিযানের ৪ দিনের মাথা প্রাণ হারালেন মৃত্যু এক বাম যুব কর্মী।