সংক্ষিপ্ত
- শীতলকুচি ইস্যুতে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি
- সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুংকার অধীরের
- নিশানা রাজ্যের বিজেপি নেতাদের নিশানা
- মমতাকেো কটাক্ষ প্রদেশ সভাপতি অধীরের
শীতলকুচি ইস্যুতে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যরাজনী। মঙ্গলবার কুমারগ্রামের নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, শীলতকুচির ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরও নিশানা করেন। অধীর চৌধুরী বলেন, শীতলকুচি নিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতারা একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করেই চলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহস থাকলে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করুক।
কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি খুব জোরের সঙ্গেই বলেন শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে মামলা করবেন। একই সঙ্গে শীতলকুচি ইস্যুতে তিনি বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে মানুষের মন গলানোর চেষ্টা না করে বিজেপির যেসব নেতারা শীতলকুচি নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে যাচ্ছেন তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার। এই রাজ্যের ক্ষমতায় যদি তাঁরা থাকলেন তাহলে সেই পদক্ষেপই গ্রহণ করতেন বলেও জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী নার্গিস বানু চৌধুরীর সমর্থনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জে জনসভা করের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুরে কুমারগঞ্জ বিধানসভার চাঁদগঞ্জে প্রার্থী নার্গিস বানুর সমর্থনে জনসভায় যোগ দেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে তিনি শীতলকুচি যাবেন কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তার কোনও উত্তর দেননি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। প্রথম দিন থেকেই শীলতকুচির ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস ও বাম নেতারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোরও প্রতিবাদ করা হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল ভোটের দিন শীলতকুচিতে ১২৬ নম্বর বুথের সামলে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। গুলিবিদ্ধ হয়ে ৪ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয় বলেও দাবি করা হয়েছে দলের তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় বিজেপি প্রশাংসা করলেও বিরোধী রাজনীতিক দলগুলি তীব্র নিন্দা করছে। অন্যদিকে শীতলকুচি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন দুই বিজেপি নেতাকে নোটিশ পাঠিয়েছে। দীলিপ ঘোষকে আগামিকালের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। রাহুল সিনহাকে ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচনী প্রচার বন্ধ রাখতে বলেছে।