সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার বিধায়ক হিসাবে শপথগ্রহণ করেছেন মুকুল রায়
তারপর থেকে তাঁর গতিবিধি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন
ফের কি তৃণমূলে ফিরছেন তিনি
শনিবার নিজেই জানালেন পরবর্তী পদক্ষেপ
মুকুল রায়-কে নিয়ে জল্পনার অবসান। শুক্রবার বিধায়ক হিসাবে শপথগ্রহণের পর থেকে তাঁর গতিবিধি নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। শপথগ্রহণের পর সাংবাদিকদের কিছু বলতে চাননি তিনি। যোগ দেননি বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকেও। ফলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, তিনি কি ফের তৃণমূলে ফিরছেন? কী করবেন তিনি? কী হবে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ? শনিবার নিজেই এইসব প্রশ্নের জবাব দিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক।
এদিন তিনি একটি টুইট করে জানিয়েছেন, রাজ্যের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাঁর লড়াই অব্যাহত থাকবে। আর তা তিনি করবেন বিজেপির সৈনিক হিসাবেই। কাজেই তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা বন্ধ করতে বলেছেন মুকুল। তিনি আরও জানিয়েছেন, 'আমার রাজনৈতিক পথে আমি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ'।
Subscribe to get breaking news alerts
My fight would continue as a soldier of BJP to restore democracy in our state. I would request everyone to put the concoctions and conjectures to rest. I am resolute in my political path.
— Mukul Roy (@MukulR_Official) May 8, 2021
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পর, বিজেপির অনেক নেতাকে মুখ খুলতে দেখা গেলেও মুকুল রায়কে একটি কথাও বলতে শোনা যায়নি। নির্বাচনের প্রতার পর্বে আবার তৃণমূলনেত্রীর মুখে মুকুল রায়ের প্রশংসাও শোনা গিয়েছিল। ভোটের ফলপ্রকাশের পর একদিকে মুকুল নীরবতা নিয়ে, নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। আরর সেই জল্পনাই বেশ কয়েক কদম বেড়েছিল শুক্রবার, ৭ মে।
বিধানসভায় নদিয়ার বিধায়কদের শপথগ্রহণের কথা ছিল। মুকুল রায় শপথ নিয়েই বেরিয়ে যান। প্রাক্তন সতীর্থ তথা তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দেননি। সব মিলিয়ে ছিলেন মেরেকেটে ২০ মিনিট। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল জানিয়েছিলেন তিনি পরে সাংবাদিকদের ডেকে যা বলার বলবেন।
আরও পড়ুন - লাগবে না কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট - হাসপাতালে ভর্তিতে ৪ নতুন নির্দেশ, কী বলল কেন্দ্র
আরও পড়ন - জলে গুলে খেলেই সংক্রমণ-মুক্ত - করোনা-যুদ্ধের অস্ত্র দিল DRDO, অনুমোদন DGCI-এর
আরও পড়ুন - 'দলের ক্ষতি করেননি' - তৃণমূলে টিকেই গেলেন দিব্যেন্দু অধিকারী, বহিষ্কৃত প্রাক্তন বিধায়ক
এদিন সেই জল্পনার অবসান ঘটালেও, বিজেপির অন্দরে এই মুহূর্তে বিরোধী দলনেতা বাছাই নিয়ে বেশ সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী - তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা দুই নেতাকেই বিরোধী দলনেতা হিসাবে দেখতে চান দলের একাংশ। কিন্তু, তাতে সায় নেই দিলীপ ঘোষের। তিননি চান সংঘ পরিবার থেকে আসা কোনও জয়ী প্রার্থী বিরোধী দলনেতা হোক।
এর পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপরও ক্ষুব্ধ মুকুল রায়, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তাঁকে এবারের নির্বাচনে ভোটে লড়তে একপ্রকার বাধ্যই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুকুল ঘনিষ্ঠদের বলে দাবি করা ব্যক্তিবর্গ। যার ফলে গোটা রাজ্যে দলের সাংগঠনিক দিক সামলাতে পারেননি তিনি। তাঁর বদলে সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিজেপির বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতাদের। আর এই জন্যই দলের এই হতাশাজনক ফল হয়েছে। মুকুল রায় এদিন জানালেন বিজেপিতেই আছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি আর কী বলেন, তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে দারুণ কৌতূহল তৈরি হয়েছে।