সংক্ষিপ্ত
- কোভিডের জেরে দেশ জুড়ে অক্সিজেনের হাহাকার
- রাজ্য় থেকে অক্সিজেন বাইরে না পাঠাতে কেন্দ্রকে অনুরোধ
- কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়
- কেন্দ্রের জবাব আসতেই পাল্টা তোপ মমতার সরকারের
কোভিডে ভয়াবহ অবস্থায় দেশ জুড়ে অক্সিজেনের হাহাকার। এমনইসময় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানো যাবে না বলে মোদী সরকারকে দুর্গাপুর থেকে ভার্চুয়াল সভা থেকে তোপ দেগেছিলেন মমতা। উৎপাদিত অক্সিজেন ভিন রাজ্যে রফতানি না করার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেয় নবান্ন। আর এর পরে পাল্টা জবাব আসে কেন্দ্র থেকেও।
মোদী সরকারের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছে, বাড়তি অক্সিজেনই উত্তরপ্রদেশে পাঠানো হচ্ছে। দরকারে ঝাড়খন্ড থেকে অক্সিজেন পেতে পারে বাংলা। রাজ্য তখন চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ওই অক্সিজেনই পাঠানো হোক অন্যত্র। রাজ্যকে দেওয়ার দরকার নেই। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর থেকে ভার্চুয়াল সভা করে মমতা সেদিন গুরুতর অভিযোগ এনে বলেন, বাংলার অক্সিজেন সাপ্লাই চেন সেল উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। তাহলে আমরা কোথা থেকে অক্সিজেন পাব বলে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাই কেন্দ্রকে পাঠানো রাজ্য়ের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই মুহূর্তে ২০০ মেট্রিক টন করে অক্সিজেন পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু দ্রুত চাহিদা বাড়ছে। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। তাই এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য়খাতে জন্য বরাদ্দ অক্সিজেন যেনও কোথায় বা অন্য কোনও রাজ্যে না সরানো হয় বলে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। যদিও এই মুহূর্তে পাল্টা জবাবের উত্তর আসেনি এখনও।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এএনআই-এর প্রকাশ করা বিবৃতি অনুযায়ী হাসপাতালের এক মেডিক্যাল ডিরেক্টর জানিয়েছিলেন, গত ২৪ ঘণ্টার তাদের হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২৫ জন খুব অসুস্থ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও তা পরে খবর পুরোপুরি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডিএস রানা। তবুও এটা সত্যি যে, সারা দেশ জুড়ে কোভিড আক্রান্তরা ঠাসাঠাসি করে কোনও রকম হাসপাতালের বেডে। সারা দেশেরই সংবাদমাধ্যম তথা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্য়মে প্রকাশ্যে এসেছে সেই দৃশ্য। বেড কমলেও অক্সিজেনের ঘাটতি যে আরও ভয়াবহ তা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকেরাও। এমনই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন রাজ্যে অক্সিজেন রফতানি না করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করল রাজ্য সরকার। কারণ ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গেও একই অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। এবং সেই ধারণা থেকেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণকে শুক্রবার অক্সিজেন সম্পর্কে চিঠি দিয়েছেনন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়।