সংক্ষিপ্ত

  • ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে পদত্যাগ গৃহীত
  • তৃণমূলের দলত্যাগী সভাধিপতি মোশারফ হোসেনের পদত্যাগপত্র
  • মুর্শিদাবাদকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক জল্পনা
  • সভাধিপতির আসনের প্রার্থী নিয়ে জল্পনা

ভোটের আগে থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর একসময়ের সেনাপতি বলে পরিচিত মোশারফ হোসেনের পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা চলছিল।  বর্তমানে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে আসা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা দাপুটে নেতা মোশারফ হোসেন মণ্ডলের পদত্যাগপত্র নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। এমনকি এই পুরো ব্যাপারটিকে সামাল দিতে তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌঁশলি প্রশান্ত কিশোরকে নিজের টিম আইপ্যাককে পাঠাতে হয়।

অবশেষে দীর্ঘ আইনি জটিলতা কাটিয়ে ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে পাকাপাকিভাবে গৃহীত হল তৃণমূলের জেলা পরিষদের দলত্যাগী প্রাক্তন সভাধিপতি মোশারফ হোসেনের পদত্যাগপত্র। জানা যায়, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন। 

সেই পদত্যাগপত্রের শুনানি শেষে ডিভিশনাল কমিশনের মোশারফ হোসেনের কাছে জানতে চান, তিনি আদৌ কি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন? নাকি জোর করে ইস্তফাপত্র জমা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। মোশারফ হোসেন জানান, ফোন করে ইস্তফা দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। নিজের ইচ্ছাতেই পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। 

সূত্রের খবর, এবার ওই পদে নতুন কাউকে বসাতে আর কোনও অসুবিধা নেই তৃণমূল নেতৃত্বের। তবে সভাধিপতির চেয়ারে কে বসবেন, তা নিয়েই এখন জেলাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সহ সভাধিপতির পদেও নতুন মুখ আনা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই পদ থেকে বৈদ্যনাথ দাসও কয়েক দিন আগেই ইস্তফা দিয়েছেন। এছাড়াও কয়েক দিন পর বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষকেও সরানো হবে বলে জানা গিয়েছে। 

ফলে সব মিলিয়ে তৃণমূলের অন্দরে মুর্শিদাবাদকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় থাকা তৃণমূলের একাধিক শিবিরের নেতা-নেত্রীর মন জুগিয়ে কে বা কারা জেলা পরিষদের সভাধিপতি পথ থেকে শুরু করে সহ-সভাপতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারেন।