সংক্ষিপ্ত
- গেঞ্জি কারখানা থেকে উদ্ধার চার অগ্নিদগ্ধ দেহ
- দীর্ঘ ৫৭ ঘন্টা পর তাঁদের খোঁজ পেল দমকল
- কারখানায় আটকে থেকেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু
- ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে এসেছে ফরেন্সিক টিম
দীর্ঘ ৫৭ ঘন্টা পর সাজিরহাট-বিলকান্দার অগ্নিগগ্ধ গেঞ্জি কারখানায় ঢুকতে পারল দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। উদ্ধার হল আগুন লাগার পর নিখোঁজ হওয়া কারখানায় আটকে থাকা চারজনের দেহ। ঘটনাস্থলে এসেছে ফরেন্সিক টিম।
আরও পড়ুন, 'খুশির খবর', সীমান্ত এলাকায় কোভিড রুখতে বরাদ্দ ৫০ হাজারেরও বেশি ভ্যাকসিন
জানা গিয়েছে, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মৃত ওই চার কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত তিন দিন ধরে যাঁরা কারখানার ভিতরে আটকে ছিলেন। দমকল সূত্রে খবর, দেহগুলি শণাক্তকরণের মতো অবস্থায় না থাকলেও, মৃতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ওই বিল্ডিয়ের একাংশ ভেঙে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই আতঙ্কিত জনতাকে নির্দিষ্ট দূরত্বে সরিয়ে রেখেছেন। উল্লেখ্য, আগুন লাগার পর ওই চার ব্যক্তিকে খুঁজে না পাওয়ায় শেষ অবধি এদিন ড্রোন নামানোর পরিকল্পনা নেয় দমকল, পিডাব্লুডি এবং সিভিল ডিফেন্স আধিকারিকরা। তারপরেই উদ্ধার হয় ওই চার জনের দেহ।
আরও পড়ুন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হানা উত্তর দিনাজপুরে, কোভিড আক্রান্ত অবস্থাতেই মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ
বুধবার গভীর রাতে ওই গেঞ্জী কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। ২২ টি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাগাতার কাজ করে গিয়েছে। তার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই বিল্ডিংয়ের পিছনে ছিল একটি বেসরকারি হাসপাতালের গুদাম। যেখানে মজুত ছিল অধিক পরিমাণে স্যানিটাইজার। সেজন্য আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। প্রসঙ্গত, যে কারখানায় আগুন লেগেছে, সেই বহুতলটি এতটাই বিপদজ্জনক যে, যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। অগত্যা বাইরে থেকে প্রথমে যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন দমকলকর্মীরা। বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ এই আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। মাঝারি কয়েকশো ছোট কারখানা রয়েছে এখানে। বিলকান্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান এর দাবি এখানে বেশ কিছু অবৈধ কারখানা রয়েছে যাদের কোনও কাগজপত্র নেই। বহুবার পঞ্চায়েতের তরফ থেকে জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ।