সংক্ষিপ্ত

  • ৩৮ ঘন্টা পরেও নিভল আগুন সাজিরহাট-বিলকান্দায়
  •  দাহ‍্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সময় লাগে 
  •  এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও নিখোঁজ চার ব্যক্তি 
  • ওই বিল্ডিংয়ে চারজনের খোঁজ করতে ড্রোন নামাবে দমকল 

 দীর্ঘ ৩৮ ঘন্টা পর আগুন নিভল সাজিরহাটের গেঞ্জী কারখানায়। ২২ টি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাগাতার কাজ করে গিয়েছে। ভাঙা হয়েছে বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন অংশ।  ৩৮ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও নিখোঁজ চার ব্যক্তি।

আরও পড়ুন, কোভিডে সংক্রমণ কমল কলকাতা সহ রাজ্যে, মৃত্যু কমছেই না উত্তর ২৪ পরগণায় 

 

 

জানা গিয়েছে, নিখোঁজ তিনজনের নাম অমিত সেন, স্বরূপ ঘোষ, তন্ময় ঘোষ। ৩৮ ঘন্টা পরেও আলোর খোঁজে বুক ফাঁটছে ওই চারজনের পরিবারের। এদিন শনিবার চারজনের খোঁজ করতে ড্রোন নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দমকল, পিডাব্লুডি এবং সিভিল ডিফেন্স আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, যে কারখানায় আগুন লেগেছে, সেই বহুতলটি এতটাই বিপদজ্জনক যে, যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। অগত্যা বাইরে থেকে যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন দমকলকর্মীরা। বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ এই আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। মাঝারি কয়েকশো ছোট কারখানা রয়েছে এখানে। বিলকান্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান এর দাবি এখানে বেশ কিছু অবৈধ কারখানা রয়েছে যাদের কোনও কাগজপত্র নেই। বহুবার পঞ্চায়েতের তরফ থেকে জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি।

আরও পড়ুন, 'নির্বাচন হেরে প্রতিশোধ নিচ্ছে কেন্দ্র-এটা কি দরকার ছিল', 'আলাপন' ইস্যুতে বিস্ফোরক কুণাল-অধীর 

 

 

 এই কারখানাগুলির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও সরকারি আইন বা নীতি মেনে করা হয়নি। যার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।  আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় রাত থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এই শিল্পতালুক লাগোয়া বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযোগ কারখানার নিরাপত্তা কর্মীরা মূল যে প্রবেশ গেট রয়েছে সেটা আটকে রাখার জন্য দমকলকর্মীরা কারখানার ভেতরে আগুন নেভাতে ঢুকতে পারেনি।  রাত আড়াইটে নাগাদ আগুণ লাগলেও প্রায় দুই ঘণ্টা পর ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ নাগাদ দমকল কর্মীরা এই কারখানার ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হয়। এই দেরি হবার জন্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে  গেঞ্জির কারখানায় আগুন পাশের একটি ফার্মেসী গোডাউনে। 

আরও পড়ুন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হানা উত্তর দিনাজপুরে, কোভিড আক্রান্ত অবস্থাতেই মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ 

রাজ্যে এই  মুহূর্তে চলছে কার্যত লকডাউন। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি বিধি-নিষেধ না মেনেই ওই কারখানায় কাজ চলছিল। শনিবার আপাতত ওই চার ব্যাক্তির দেহ খুঁজে বের করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ দমকল এবং মোকাবিলা বাহিনীর।