সংক্ষিপ্ত

  • ১১ তারিখ নবান্ন অভিযান করে বাম যুব সংগঠন
  • পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র হয়ে ওটে রাজপথ
  • ঘটনার চারদিন পর মৃত্যু আহত এক বাম যুব কর্মীর
  • পুলিসের মারেই মৃত্যু বলে অভিযোগ বাম নেতৃত্বের
     

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাম যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতার রাজপথ। পুলিসের লাঠিচার্জে আহত হন অসংখ্য এসএফআই, ডিওয়াইএফআই সহ অন্য়ান্য বাম যুব সংগঠনের কর্মীরা। ঘটনাকে কলঙ্কিত জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এবার নবান্ন অভিযানের ৪ দিন পর মৃত্যু হল এক বাম যুব কর্মীর। কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হল তার। পুলিসের লাঠির আঘাতেই মৃত্যু বলে দাবি বাম নেতৃত্বের।

মৃত ডিওয়াইএফআই যুব কর্মীর নাম মইদুল ইসলাম মিদ্যা। বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৩১।  পেশায় অটো চালক মইদুল ইসলামের দুটি সন্তানও রয়েছে। নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জে গুরুতর জখম হন বলে অভিযোগ উঠেছিল বাম সংগঠনের তরফে। পুলিসের লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে ঘিরে ধরে মারা হয় বলে অভিযোগ। নার্সিংহোম সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিসের লাঠির আঘাতে প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বের হয়ে যায় সেদিন। পেশিতে চোট লাগায় কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায় তার।  এরপর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

ঘটনায় সিপিএম বিধায়ক তথা বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,'এটা একটা খুন। বাঁকুড়া গ্রামের ছেলে চাকরি চাইতে এসেছিলেন। বুকে-পিঠে- ঘিরে মেরেছে। সরকার তার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। খুনি সরকার। মানুষের কথা শোনার মতো কোনও সুযোগই রাখে না এই সরকার।' ডিওয়াইএফআই নেতা কলতন দাশগুপ্ত বলেন,'জালিয়ান ওয়ালাবাগের মতো ঘটনা। চাকরি চাইতে গিয়ে কলকাতার রাস্তায় খুন হতে হয়েছে প্রশাসনের হাতে'। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া বাম যুব সংগঠনের তরফ থেকে।