সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ
- তড়িঘড়ি স্থগিত করা হলো মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের নির্বাচন
- সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে নাম গোপন রাখা হয়েছে
- মুখে কুলুপ সব স্তরের নেতাদের
নতুন জল্পনা! আচমকা রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে তড়িঘড়ি স্থগিত করা হলো মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদের নির্বাচন। আচমকাই ছন্দপতন। বিশেষ কারণে আজ বুধবার ১৬ জুনের গুরুত্বপূর্ণ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন স্থগিত করা হলো রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে। এমনই তথ্য দিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
শহরে চালু হল মেট্রো পরিষেবা, কারা উঠতে পারবেন-জানাল রেল
যদিও যেকোনো মুহূর্তে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে বলেই এদিন জানান মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ ও জেলা সভাপতি আবু তাহের খান। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি নির্বাচন ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে ছিল শুরু থেকেই। কে কে ওই পদে বসছেন তা এখনও জানেন না কোনও সদস্যই। তবে আজ বুধবার এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য কবে এই নির্বাচন হবে তা নিশ্চিত নয়।
বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতৃত্ব এই নির্বাচন স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে। তবে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে কড়া নজরদারির মধ্যে সভাধিপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনের জন্য আগাম সমস্ত সদস্যদের বহরমপুরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে তাঁদের পার্টিঅফিসে হাজির থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কথা ছিল সদস্যদের সঙ্গে জেলার নেতারা কিছুক্ষণের জন্য বৈঠক করবেন। সেখানেই রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ তাঁদের জানানো হবে। রাতে সমস্ত সদস্যদের বহরমপুরে থাকার বন্দোবস্তও করা ছিল।
আঙ্কলজি, দিল্লি থেকে দয়া করে ফিরবেন না, ধনকড়কে তীব্র কটাক্ষ মহুয়া মৈত্রর
আচমকাই শেষ পর্যন্ত ঘটে এই ছন্দপতন । কিন্তু সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতির নাম অত্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, সভাধিপতি বা সহ সভাধিপতি কে হচ্ছেন তা জেলার কোনও নেতা জানেন না। জেলার নেতারা ওই দু’টি পদে তাঁদের পছন্দের লোকজনদের বসানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সবকিছু বিচার বিবেচনা করে রাজ্য নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি নির্বাচনের কিছু আগে রাজ্য থেকে দু’টি নাম জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাঁদেরই সকলকে মেনে নিতে হবে।
Green fungus: এবার দেশে সবুজ ছত্রাকের হানা, করোনাজয়ীর শরীরে মিলল Green fungus
তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত সকলে মানতে বাধ্য। আরও জানা গিয়েছে, ওই দু’টি পদের জন্য মোট ২৮ জন বায়োডাটা দিয়ে আবেদন করেছেন। সেই বায়োডাটা দেখে সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি নির্বাচন করা হবে বলে তৃণমূলে একাংশের দাবি। তবে সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি পদের জন্য চার কয়েকজনের নাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি জল্পনা রয়েছে। আপাতত সবকিছুই স্থগিত হয়ে যাওয়ায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।