সাত দফায় হবে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনশুরু হচ্ছে ১ এপ্রিল থেকেইসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল নির্বাচনের দিনক্ষণসত্যিই কি তাই 

বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সরগরম বাংলা। কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি-র। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে নতুন করে উৎসাহিত বাম-কংগ্রেসও। সকলেরই চোখ নির্বাচনের দিকে। এরমধ্যে আলোড়ন ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট। ভাইরাল হওয়া সেই পোস্টে দাবি করা হয়েছে বাংলায় নির্বাচন হতে চলেছে সাত দফায়। শুরু হবে ১ এপ্রিল, শেষ ১৭ মে।

শুধু তাই নয়, এই সূচি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেই প্রকাশ করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। কিন্তু, সত্যিই কি তাই? নির্বাচনের সূচি কি ফাঁস হয়ে গিয়েছে সোশাল মিডিয়ায়?

Scroll to load tweet…

এশিানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে এই পোস্টের দাবিটি যাচাই করা হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া পোস্টটিতে দাবি করা হয়েছে এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হলেও ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১১ এপ্রিল থেকে। চূড়ান্ত ভোট গণনা হবে ২৩ মে। তবে পোস্টে অদ্ভূতভাবে বিধানসভা ভোটের কথা একবারও উল্লেখ করা হয়নি, বরং ভারতের সাধারণ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভাইরাল হওয়া ভোটের সূচিতে নির্বাচনী এলাকার সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৪২টি।

বস্তুত বাংলায় বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯৪ টি, লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে ৪২টি। কাজেই নির্বাচনি সূচিটি বিধানসভা নয়, লোকসভার বলে সন্দেহ তৈরি হয় এশিয়ানেট নিউজ বাংলার। বিধানসভা নিকর্বাচনের কথা উল্লেখ না করাটা সেই সন্দেহ আরও গাঢ় করেছে। এরপর নির্বাচনী সূচি সম্পর্কিত কিওয়ার্ড দিয়ে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সন্ধান চালিয়ে দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া সূচিটি আসলে লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ বাংলার ভোটগ্রহণের সূচি। ওই নির্বাচনের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের তারিখের সঙ্গে ভাইরাল সূচিটি একেবারে এক তাইই নয়, এমনকি উল্লিখিত সমীক্ষার তারিখগুলিও এক। একটিই পার্থক্য, সব তারিখেই সালের জায়গায় ২০১৯-এর বদলে ২০২১ লেখা রয়েছে।

Scroll to load tweet…

সাধারণত সাংবাদিক সম্মেলন করেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বাংলার নির্বাচনের জন্য এখনও পর্যন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে সেই রকম কোনও সাংবাদিক বৈঠক করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও বাংলার বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর কোনও তারিখের উল্লেখ করা হয়নি। উপরন্ত, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)-ও ভাইরাল নির্বাচনী সূচিটিকে 'ভুয়ো' বলে জানিয়েছে। এই সকল তথ্য-প্রমাণ থেকে স্পষ্ট, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সূচিটিই রাজ্যের ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ হিসাবে মিথ্যাভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।