সংক্ষিপ্ত
- ভোটের আগে ফের অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির
- প্রকাশ্যে কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থীর দাম্পত্য কলহ
- বিজেপি প্রার্থী সৌমেন রায়ের বিরুদ্ধে বার্তা দিলেন তার স্ত্রী
- যেই ভিডিও প্রকাশ্য়ে আসার পর জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
এবারের ভোট সত্যিই একেবারে আলাদা। রাজনৈতিক লড়াই তো বটেই, পারিবারিক বিবাদ, দাম্পত্য কলহ ২০২১ বিধানসবা নির্বাচনের অংশ হয়ে উঠেছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ-সুজাতা খাঁ-য়ের পর এবার প্রকাশ্যে আরও এক দাম্পত্য বিবাদ। কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন রায়ের দাম্পত্য কলহের রেশ এসে পড়ল রাজনীতির আঙিনায়। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে 'ভিডিও বোমা' নিক্ষেপ করলেন তার স্ত্রী শর্বরী রায়। একইসঙ্গে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত না করার জন্যও আবেদন করেছেন বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী।
ভিডিও বার্তায় শর্বরীয় রায় জানিয়েছেন,'সৌমেন রায় নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় নিজেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাটাকার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। এটা সর্বৈব মিথ্যা। ওঁর আদিবাড়ি কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ধলফল গ্রামে। আমার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।উনি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, আমি বর্তমানে তাপস দাসকে বিয়ে করেছি। সৌমেন রায়ের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য এবং প্রমাণ নিয়ে আমি কালিয়াগঞ্জে আসব। আমার সঙ্গে তাপস দাস কালিয়াগঞ্জে আসবেন। তাপস দাস আপনাদের সামনে সৌমেন রায়ের বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য প্রমাণ তুলে ধরবে। কালিয়াগঞ্জবাসীর উদ্দেশে আমার একটাই আবেদন, আপনারা ওঁকে কোনও ভাবেই ভোটে জিততে দেবেন না। জনপ্রতিনিধিত্ব করতে দেবেন না ৷' এই ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে আসার পরই হৈ-চৈ পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
"
পালটা ময়দানে নামতে দেরি করেনি বিজেপি প্রার্থীও।কালিয়াগঞ্জের বিজেপে প্রার্থী জানান,'এটা সত্যি শর্বরী আমার বিবাহিত স্ত্রী। কিন্তু মন থেক ত্যাগ করেছি। স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,কোনও স্বামীর পক্ষেই এভাবে সংসার করা সম্ভব না। আমি ডিভোর্স মামলা করি। তা এখন বিচারাধীন। আমার বংশ পরিচয় দেখে আবেগ তাড়িত হয়ে আমাকে বিয়ে করেছিল। কিন্তু বিয়ের পর মোহভঙ্গ হয়ে যায়। আমার ভাষা, আমার বাবা মাকে নিয়েও ওঁর সমস্যা তৈরি হয়। আজ হঠাৎ ভিডিও করে কেন এসব বলছে। বুঝতে পারছেন না কে করাচ্ছে এসব।' স্ত্রী কালিয়াগঞ্জে এসে প্রচারর করার বিষয়ে সৌমেন রায় বলেন এটা সম্পূর্ণ ওর ব্যক্তিগত বিষয়।
"
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থা হিসেবে সৌমেন রায়ের নাম ঘোষণার করার পর থেকেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে। বহিরাগত প্রার্থীকে মেনে নিতে নারাজ ছিলেন অনেকেই। বিক্ষোভ দেখানো হয় বিজেপি জেলা নেতৃত্বের তরফ থেকে। দলের তরফে নাম ঘোষণার চার দিন পর মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী। জোরকদমে প্রচারে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগেই স্ত্রীর তরফ থেকে 'ভিডিও বোমা' নিক্ষেপ করায় বিজেপি প্রার্থীর অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।