সংক্ষিপ্ত
- নাড্ডার সফরের দিনেই খানাকুলে প্রচারে মমতা
- তপনকে ক্ষমা করে ভোটটা দিন- ও একটু দুষ্টু-মিষ্টি'
- তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্তের হয়ে সাফাই মমতার
- কিন্তু কেন তপন দাশগুপ্তকে নিয়ে চিন্তায় মমতা
'তপনকে ক্ষমা করে দিয়ে ভোটটা দেবেন তো' হুগলি জেলার খানাকুলে এসে তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের হয়ে সাফাই দিয়ে ফের চিন্তায় মমতা। আদৌ ভোটটা ঘাসশিবিরে পড়বে কিনা এনিয়ে শঙ্কায় তৃণমূলসুপ্রিমো। নাড্ডার সফরের দিনেই খানাকুলবাসীকে তপনের মর্ম বোঝালেন মমতা।
তৃতীয় দফার ভোটের ঠিক আগেরদিন খানাকুলে মমতার গলার ফের শঙ্কিত কন্ঠ শোনা যায়। এবারে তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্তের হয়ে তিনি বলেন, 'তপনকে ক্ষমা করে দিন। ভোটটা দিন। ও একটু দুষ্টু-মিষ্টি আছে।' কিন্তু কেন তপনকে নিয়ে শঙ্কায় 'দিদি'। শিকড় ঘাটলে উঠে আসে তপনের 'হুমকি'-র আওয়াজ। সম্প্রতি প্রচারে বেরিয়ে এলাকায়বাসীদের উদ্দেশ্য়ে হুমকি দিয়ে তপন বলেছিলেন, 'ভোট না দিলে জল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে অভিযোগ ওঠে।' উল্লেখ্য, গত বছরও নিজেকে 'সবচেয়ে বড় গুন্ডা' বলে দাবি করেছিলেন মন্ত্রী। অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূলের মধ্যেই তাঁকে হারানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাঁরা কেউ কেউ বলছেন, 'তাঁরা মস্তান।' এরপরই বলেছিলেন, 'তিনিই সবচেয়ে বড় মস্তান।' এহেন ইতিহাস যে নেহাত খুব একটা 'দুষ্টু-মিষ্টি' পর্যায়ে পড়ে না, তা বোধয় মমতার আশঙ্কাতেই টের পাওয়া গিয়েছে বলে গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, ISF কতটা প্রভাব ফেলবে খানাকুলে, তার উপরেই নির্ভর করবে ২১-র ফলাফল
এদিকে এই পানীয়জলের ইস্যু যে রাজ্যের কৃষি-শিল্প-কর্ম সংস্থানের পাশাপাশি বাংলার অন্যতম বড় সমস্যা, তা আগেই এরাজ্য়ে এসে শিরোণামে এনেছেন মোদী-শাহ। আর ভোটের দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় নের্তৃত্বে চুলচেরা বিশ্লেষণের পর, অনেকক্ষেত্রেই ঘাসফুলের মন্তব্য়ে কপিক্যাটের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে অনুসরণ বা অনুকরণ তো তাও ছিল ভাল। সেসবও ছাড়িয়ে একেবারে তৃতীয় দফার আগে, 'ভোট না দিলে' তপনের সেই 'পানীয় জল না দেওয়ার হুমকি' যে কার্যত ক্লিন বোল্ড হয়ে বসতে পারে, সেই শঙ্কাই এদিন দেখা গিয়েছে। যার ভবিষ্যত তপন না দেখলেও, লাইভে স্পষ্ট ধরা পড়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর চোখে মুখে।