সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, ভাঙচুর দলীয় কার্যালয়
- ভেঙে ফেলা হল নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের ছবি
- রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি
- কারা এই হামলায় জড়িত তদন্তে শান্তিপুর পুলিশ
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, ভাঙচুর দলীয় কার্যালয়। ভেঙে ফেলা হল নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের ছবি, রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুরে। কারা এই হামলার পেছনে জড়িত তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, নদীয়ার শান্তিপুর তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় সকালবেলা নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের ছবিতে মাল্যদান করার পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এরপর ওই দলীয় কার্যালয় সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা করছিলেন শান্তিপুর সহ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ হঠাৎ প্রায় জনা ১৫ দুষ্কৃতী ওই তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালায়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় রানাঘাট যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সুমিত পরামানিক কে। এর পাশাপাশি আরও এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র। ভেঙে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের ছবি। এরপর চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সুমীত প্রামাণিককে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, এবং পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
তৃণমূল কংগ্রেস শান্তিপুর শহর সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র বলেন, 'যারা মারধোর এবং হামলা চালিয়েছে তারা প্রত্যেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। তবে কি কারণে এই হামলা চালিয়েছে তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই জেলার নেতৃত্বকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। তারা ঘটনার তদন্ত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। কারা এই হামলার পেছনে জড়িত, কি কারণেই আমরা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।'