সংক্ষিপ্ত

  • খোদ নবান্নের সামনেই পড়ল রাজীবের পোস্টার 
  • পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে,' আমরা দাদার ভক্ত'
  •  স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে 
  • 'বেসুরো' রাজীবের বিতর্কিত মন্তব্যেও গুঞ্জন শুরু 
     

খোদ নবান্নের সামনেই পড়ল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পোস্টার। নেই কোনও দলীয় প্রতীক। কিন্তু তিনিই আছেন স্বহিমায়। সঙ্গে নেই দলনেত্রীর ছবিও। এভাবেই খোদ নবান্নের সামনেই উদয় হলেন, রাজ্যের বনমন্ত্রী মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সবটাই 'দাদা'র ভক্ত নামে দলীয় প্রতীকবিহীন পোষ্টারের মধ্য দিয়ে। এই পোস্টার এখন এটাই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। কোনা এক্সপ্রেস ওয়ের উপরে কলকাতা অভিমুখে নবান্নের সামনেই এই পোস্টার পড়ায় বকলমে মুখ্যমন্ত্রী কে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার মতো বিষয়। এই রাস্তা দিয়েই রাজ্যের বহু ভিভিআইপি যাতায়াত নিত্যদিন। তাই এই জায়গাকেই বেছে নেওয়া হল।

' আমরা দাদার ভক্ত'

সোমবার সকালে দেখা গেল  কোনা এক্সপ্রেস ওয়ের উপরে, ডোমজুড়ের সলপ এলাকা, ফাঁসিতলা সহ বিভিন্ন জায়গাতেই বনমন্ত্রীর ছবি–সহ  পোস্টার টাঙানো হয়েছে। পোস্টারটি নজরে আসে স্থানীয় মানুষের। কিন্তু কে এই পোস্টারটি টানানো  নিয়ে আরও চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর মতো সেই পোস্টারের নেপথ্যে ‘দাদার অনুগামী’-রা ছিলেন না, বরং এবারে পোস্টার দেওয়া হয়েছে,' আমরা দাদার ভক্ত' এই নামে।সেই পোস্টারের পরই স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। 

  'যমের দুয়ারে সরকার' 

এই প্রসঙ্গে বিজেপি সদর জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন,' এটা শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। তাই বারবার এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। তিনি রাজ্য সরকারের 'দুয়ারে  সরকার' প্রকল্পকে  'যমের দুয়ারে সরকার' বলে কটাক্ষ করেন। তিনি দাবি করেন চলতি মাসটা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য বিশেষ ভাল কাটবে না ও আগামী বিধানসভা নির্বাচন অবদি এই রাজ্য সরকার টিঁকবে কিনা' এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,' একনায়কতন্ত্র দিয়ে দল পরিচালনা হলে এই দলের পরিণাম এরকমই হয়। তিনি আরও দাবি করে বলেন, 'বিজেপিতে ব্যক্তির চেয়ে সংগঠন আগে। তাদের দলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কোনো দক্ষ নেতা এলে,' তাকে স্বাগত জানাবেন তারা।

'স্তাবকতা করলেই বেশি নম্বর পাওয়া যায়'


প্রসঙ্গত গত শনিবার দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজীব। 'অরাজনৈতিক' অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নাম না করেই তৃণমূল এবং দলের নেতৃত্বকে কার্যত তোপ দেগেছিলেন। আক্ষেপ করেছিলেন, 'স্তাবকতা করলেই বেশি নম্বর পাওয়া যায়'। সেজন্যই তাঁর নম্বর কম। বলেন, ‘এখন হচ্ছে, স্তাবকতার যুগ। অর্থাৎ আমি ভালো বললে ভালো বলতে হবে। আমি খারাপ বললে খারাপ বলতে হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র হ্যাঁ’তে হ্যাঁ, না'তে না - এটুকু বলতে পারলেই তুমি ভালো। নয়তো তুমি খারাপ। আজ আমরা এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এগুলি মানুষ পছন্দ করেন না।' 

‘কিছু কাজ না করে বড় বড় কথা'


‘বেসুরো’ রাজীবের সেই মন্তব্যে স্বভাবতই গুঞ্জন শুরু হয়। সাংবাদিকদের সামনে এখনও রাজ্যের মন্ত্রী পদে আছেন এবং তৃণমূলেই আছেন বললেও জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি এবার বিজেপির পথে যাচ্ছেন রাজীব? তারইমধ্যে উত্তর কলকাতার একাধিক জায়গায় রাজীবের পোস্টারে কানাঘুষো আরও বেড়েছে।তারইমধ্যে নাম না করে রাজীবকে তোপ দেগেছেন অরূপ রায়। যিনি ‘রাজীব-বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘কিছু কাজ না করে বড় বড় কথা। যে দুর্নীতি করছেন, তিনি বড় বড় কথা বলছেন। চালুনি ছুঁচের বিচার করে।’