সংক্ষিপ্ত

  • প্রয়াত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা
  • খবর পেয়ে সেখানে গেলেন রাজীব
  • কুণাল ঘোষের পর এবার পার্থর বাড়িতে দেখা গেল তাঁকে
  • আট মিনিট থেকে বেরিয়ে যান তিনি

রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যু হয়েছে আজ। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন শিবানী চট্টোপাধ্যায়। আজ দুপুরে নাকতলার বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবর পেয়ে একে একে সেখানে পৌঁছান তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা। আর তারপরই সন্ধের দিকে সেখানে যান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থবাবুর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রায় আট মিনিট সেখানে থাকার পরই বেরিয়ে যান। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

আরও পড়ুন- প্রয়াত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা, মহাসচিবের পাশে অভিষেক

পার্থবাবুর মায়ের প্রয়াণের খবর শোনার পরই বিকেলের দিকে তাঁর নাকতলার বাড়িতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ পার্থবাবুর সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। এরপর একে একে পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতে ঢুকতে দেখা তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে। ওই বাড়ির বাইরে জড়ো হন মহাসচিবের অনুগামীরাও। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা বাড়ি। এরই মধ্যে জল্পনা বাড়িয়ে হঠাৎই সেখানে দেখা যায় রাজীবকে। হন্তদন্ত হয়ে পার্থবাবুর বাড়িতে ঢোকেন তিনি। তবে বেশিক্ষণ না থেকেই বেরিয়ে যান।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দল ছেড়েছিলেন রাজীব। এরপর বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করতে পিছপা হননি তিনি। প্রচারে সময় মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর ডোমজুড়ের প্রচার মঞ্চ থেকে রাজীবের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই বদলাতে শুরু করেছিল ছবিটা। বিজেপির টিকিটে বিধানসভা ভোটে হেরে যান রাজীব।

আরও পড়ুন- কুণাল ঘোষের বাড়িতে রাজীব, দেড় ঘন্টা ধরে বৈঠক - তিনিও কি গাইছেন 'ঘরে ফেরার গান'

তারপর থেকেই খানিকটা বেসুরো তিনি। বিজেপির সমালোচনা করে সম্প্রতি একটি টুইট করেছিলেন। আর তারপর থেকেই তাঁর বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এরই মধ্যে শনিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজীব। যা তাঁর দলবদলের জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও কুণাল ঘোষের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ 'নিছকই সৌজন্য' বলে মন্তব্য করেছেন রাজীব। এ প্রসঙ্গে রাজীব বলেছিলেন, "আমার এক আত্মীয় অসুস্থ। তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। কুণালের সঙ্গে দাদার মতো সম্পর্ক। এখানে আসি বলে কুণালদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করব ভেবেছিলাম। এক কাপ চা খেয়ে যাব। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। কোনও রাজনীতির আলোচনা হয়নি। দাদা কাম বন্ধু কুণাল। রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ। প্রত্যাবর্তন নিয়ে কোনও কথা হয়নি।" 

আর এরপর আজ পার্থবাবুর বাড়িতে গেলেন রাজীব। তবে রাজীব ঘনিষ্ঠদের মত, শুধুমাত্র পুরোনো সতীর্থর মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পার্থবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্যও করতে চাননি তিনি। তবে এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, আসলে এভাবেই পুরোনো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছেন রাজীব।