সংক্ষিপ্ত
- 'চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম'
- ' কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি'
- 'আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না'
- মমতার কাছে টুইটে ক্ষমা চেয়ে চিঠি সোনালি গুহ-র
তৃণমূলে ফিরে যেতে মমতার কাছে টুইটে ক্ষমা চেয়ে চিঠি সোনালি গুহ-র। প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচন যে বাংলার বুকে ফেলে আসা বাকি নির্বাচন গুলি থেকে অনেকটাই আলাদা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। এবছর একের পর এক হেভিওয়েট দল ছাড়ার পর ভগ্ন হৃদয়ে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
ততদিনে দল ছেড়েছেন তৃণমূলের অন্যতম সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরপর যখন ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে আনলেন মমতা, তখন বরাবরের চলে আসা সদস্য এতদিন যারা প্রার্থী তালিকায় প্রথম সারিতে ছিলেন, তাঁদের নাম উধাও হয়ে যায়। জেলা-শহরে একের পর এক তৃণমূল নেতা-কর্মী লিস্টে জায়গা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছেড়ে বিজেপিতে যান। এমনকি হুমকি-ভাঙচুরও চলতে থাকে। এবং প্রার্থী তালিকায় নাম না ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই আর ক্ষোভ ধরে রাখতে পারেননি সোনালি গুহও। দল ছেড়ে তিনিও বিজেপিতে যান। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ডবল ইঞ্জিনকে পিছনে ফেলে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। এহেন পরিস্থিতি রাজ্য-রাজনীতিতে বেশ বড়সড় প্রভাব পড়ে। এবার নিজের পুরোনো দলে ফিরে যেতে মমতার কাছে টুইটে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখলেন সোনালি গুহ।
আরও পড়ুন, 'গৃহবন্দি' থেকেই কোভিড ইস্যুতে আজ বৈঠক ফিরহাদের, SSKM থেকে ছুটি পেলেন না শোভন-মদন-সুব্রত
সোনালি টুইটার বার্তায় বলেছেন, 'আমার প্রণাম নেবেন। আমি সোনালি গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। যেটা ছিল আমার চরম ভূল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। দিদি মাছ যেমন জল ছাঁড়া থাকতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচবো না। আপনার আঁচলের তলে টেনে নিয়ে, বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে বাঁচার সুযোগ করে দিন।'