সংক্ষিপ্ত

  • কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনার জল্পনা সামনে এসেছে
  • বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপকে কেন্দ্র করে শুরু নতুন জল্পনা
  • কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা দিলীপের
  • এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংসদ

২০১৯ সালে কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এদিকে ক্ষমতায় আসার পর কেটে গিয়েছে ২ বছর। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত মোদীর মন্ত্রিসভার কোনও রদবদল হয়নি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকার জন্য তা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনার জল্পনা সামনে এসেছে। আর তারপরই বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।  

আরও পড়ুন- প্রয়াত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা, খবর পেয়েই ছুটলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশা মতো ফল করতে পারেনি বিজেপি। আর তারপর দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদে রাখা হবে কি না তা নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী, তাঁকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সংগঠনে রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। তবে দিলীপবাবুকে সরিয়ে শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি করা হবে না কি না তা নিয়ে একাধিক মতবিরোধ রয়েছে। কারণ দিলীপ ঘোষ সঙ্ঘ পরিবারের অত্যন্ত কাছের। সঙ্ঘ পরিবারের একটা অংশ তিনি। আর তাঁকে সরিয়ে শুভেন্দুকে বসালে সেটা সঙ্ঘ ভালো চোখে নাও নিতে পারে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, রাজ্য সভাপতির পরিবর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিতে পারেন দিলীপ ঘোষ। 

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। ১৮টি লোকসভা আসন জেতে তারা। তারপর শোনা গিয়েছিল, দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে। যদিও তা হয়নি। কারণ প্রথম দফার পাশাপাশি দ্বিতীয় দফাতেও বাবুল সুপ্রিয়কেই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রাখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি এই তালিকায় আলাদাভাবে যুক্ত হয় দেবশ্রী চৌধুরীর নাম। তাঁকেও প্রতিমন্ত্রী করা হয়। তখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়নি দিলীপবাবুকে। 

আরও পড়ুন- সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে সিঙ্গুর বিল-কঠিন লড়াইয়ের ১০ বছরের স্মৃতিচারণা, কী বললেন মমতা

এদিকে কেন্দ্রীয় নেতারা উত্তরবঙ্গ থেকেও মন্ত্রী সংখ্যা বাড়াতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হতে পারে। আসলে বাংলা থেকে মন্ত্রী সংখ্যা বাড়ানোর কথাই ভাবছেন দিল্লির নেতারা। তা না হলে বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন আরও বাড়বে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। পদ না পেলে তৃণমূলে চলে যেতে পারেন অনেকেই।  

অন্যদিকে বিধানসভা ভোটে যে সব সাংসদকে বিজেপি টিকিট দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে একমাত্র জিতেছেন নিশীথ ও নদিয়ার জগন্নাথ সরকার। কিন্তু, বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে এখন তাঁরা সাংসদই রয়েছেন। এদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয় কেউই বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি। কিন্তু, দিলীপ ঘোষ সাংসদ ও রাজ্য সভাপতি। তবে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়েননি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদের দাবিদারের তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন নিশীথ ও দিলীপ। এদিকে দিলীপবাবু যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন তাহলে রাজ্য সভাপতি পদের দাবিদার কে হবেন সে নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়েছে।