সংক্ষিপ্ত
- মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে পদচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু করল তৃণমূল
- পঞ্চায়েত প্রধান -পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বাদ পড়ে কেউই
- দলীয় প্রার্থীদের বিপাকে ফেলতে মরিয়া চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ
- যদিও দলের একটা বড় অংশ তাঁদের রেয়াত করতে নারাজ
দলকে বিপাকে ফেলতে ভোটের আগে বিজেপিকে 'অ্যাডভান্টেজ' পাইয়ে দিতে গোপনে 'আঁতাত' তৈরীর অভিযোগে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে একাধিক পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে পদচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু করল তৃণমূল। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বদলানো হবে জেলা পরিষদের। সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি ছাড়াও বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষকেও সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ভোটের আগে তাঁরা দলীয় প্রার্থীদের বিপাকে ফেলতে মরিয়া চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ। তবে কোনও কোনও জনপ্রতিনিধি ভুল স্বীকার করে পদে থাকার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। যদিও দলের একটা বড় অংশ তাঁদের রেয়াত করতে নারাজ।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি করোনা পরিস্থিতিতে ওই সব পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এখনই অনাস্থা না আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। তবে সেই নির্দেশ আসার আগেই জঙ্গিপুর,জলঙ্গি ও হরিহরপাড়ার কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়াও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী জুন মাস থেকেই ওই সব পদাধিকারীদের হটানোর তোড়জোড় শুরু হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। জলঙ্গি, হরিহরপাড়া, রানিনগর, সূতি, সাগরদিঘি সহ বেশ কয়েকটি ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধান এবং সভাপতিদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। ডোমকল মহকুমার পঞ্চায়েত সমিতির এক সভাপতি প্রকাশ্যেই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁকে পদচ্যুত করা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন বলেন, ভোটের আগে যাঁরা দলকে বিপাকে ফেলেছিল, রাজ্য নেতৃত্ব তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে। শুধু গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিই নয়, জেলা পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্যও বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের নতুন সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতির নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। উভয় ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জনপ্রতিনিধিদের কথা ভাবা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এক জেলা নেতার দাবি, চলতি আত্মশাসনে এদের সরানো হলে অন্যরকম বার্তা যেত। বেশকিছু চালু কাজও বন্ধ হয়ে যেত। তাই আপাতত এই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, যাঁরা দলের সর্বনাশের চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের কোনওভাবেই ক্ষমা করা হবে না। জেলা নেতৃত্বের দাবি, বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। জেলার ২২টি আসনের মধ্যে ২০টিতে ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে তৃণমূল ১৮টি আসনে জয়ী হয়।