সংক্ষিপ্ত

  • ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার 
  • ফসল নষ্টের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ
  • বসতবাড়ি ধূলিসাৎ হলে পরিবার পিছু ২০ হাজার টাকা 
  • শুক্রবার জেলায় ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী 

ঘূর্ণিঝড় যশের জেরে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক, মৎসজীবী, হস্তশিল্পীদের জন্য জন্য ৩০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। শুক্রবার জেলায় ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তারপরেই নবান্নের তরফে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা এবং নাগরিক প্রতিরক্ষা তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন, হেলিকপ্টারে করে রওনা দিলেন মমতা, ৬ বিধানসভা আকাশপথে পরিদর্শন মুখ্যমন্ত্রীর  

 

 

 ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করে সেখানে বলা হয়েছে যে, ফসল নষ্টের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন কৃষকরা। এবং  সর্বোচ্চ আড়াই হাজার। বসতবাড়ি পুরোপুরি ধূলিসাৎ হলে পরিবার পিছু ২০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার। ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হলে পরিবার পিছু ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়ে গবাদি পশু মারা গিয়ে থাকলে, প্রত্য়েক গরু এবং মহিষ পিছু ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাতে ওই টাকায় ফের গবাদি পশু কেনা যায়। ভেড়া-ছাগল-শুকর মারা গিয়ে থাকলে নতুন করে কেনার জন্য ৩ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ক্ষেতে চাষের কাজে বা মালপত্র বহনের কাজে ব্যবহার করা ষাড় ঘূর্ণিঝড়ে মারা গিয়ে থাকলে প্রতিটির জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। বাছুর মারা গিয়ে থাকলে ১৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড় যশের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ, আজই রাজ্য সফরে মোদী-মমতা 

 

 

অপরদিকে দুর্যোগে পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন কৃষকরা। মৎসজীবিরা নতুন হাঁড়ি কেনার জন্য ৩০০ টাকা করে পাবেন। মাছ ধরার জাল কেনার জন্য ২ হাজার টাকা করে পাবেন। নৌকা ক্ষতিগ্রস্থ হলে প্রতি নৌকার জন্য ১০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হলে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন। হস্তশিল্পীদের যন্ত্রপাতি কিনতে প্রতিজনকে ৪ হাজার ১০০ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। কাঁচামাল কিনতে মাথাপিছু ৪ হাজার ১০০ টাকা করে পাবেন। গুদামঘর, দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হলে একক প্রতি ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন, রয়েছে সামান্য আচ্ছনভাব, শ্বাসকষ্ট থাকলেও কথা বলছেন বুদ্ধদেব  

 


সবকিছু ক্ষতিয়ে দেখার পর আগামী ১ জুলাই থেকে ৭ জুলায়ের মধ্যে সকলের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা জমা করে দেবে রাজ্য সরকার। ৩ জুন থেকে খুলছে 'দুয়ারে ত্রাণ' শিবির। আবেদন সংগ্রহ করা যাবে ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত। ১৯ থেকে ৩১ জুনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তারপর ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্য়ে সকলের অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা জমা দেবে রাজ্য সরকার।