সংক্ষিপ্ত
- ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছে সরকারি হাসপাতালে
- জল জমে ওটি-এমার্জেন্সি বিভাগে
- বৃষ্টিপাতের ১২ ঘণ্টা পরেও জমে জল
- পাম্প চালিয়েও ফল মিলছে না
হাসপাতালের মূল দরজার সামনে জল, জল জমেছে এমার্জেন্সি ওয়ার্ড এমনকী অপারেশন থিয়েটারেও। জল থৈ থৈ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতাল ভবনের একাধিক ওয়ার্ডে জল ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টিপাতের ১২ ঘণ্টা পরেও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার, এমারজেন্সি- সমস্ত জায়গায় জল জমে রয়েছে।
যদিও মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে পাম্প বসিয়ে জল বার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু গোটা শহর জলমগ্ন হয়ে থাকায় জল সেরকম বেরোচ্ছে না বলে দাবি হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়ের। তিনি জানান জল বের করার কাজ ক্রমাগত চলছে। কিন্তু লাভ বিশেষ হচ্ছে না।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই মালদা মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতাল ভবনের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে রোগীদের অস্থায়ীভাবে ব্যবস্থা করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজের সমস্ত বিভাগ পরিদর্শন করেন। চিকিৎসা পরিষেরবা যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে বিষয়েও নজরদারি চালান।
এদিকে, জল জমে রয়েছে গোটা মালদা জুড়েই। কোথাও হাঁটু জল, কোথাও জল জমে ডোবার আকার ধারন করেছে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছে মালদহের চাঁচলে একাধিক রাস্তায়। শুধু রাস্তায় নয়। বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়ির ভেতরেও জল ঢুকে গেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশির দিকে নজরই নেই পঞ্চায়েত প্রশাসনের।
বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয়েছে চাঁচল করোনা হাসপাতালের মূল ফটক।সেখানেও নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা বলে খবর। এদিক চাঁচল ব্লকের বিভিন্ন পাড়ায় জল জমে বাড়িতে ঢুকে যায়। থানা সংলগ্ন ওই পাড়ায় জল জমে বাড়িতে ঢুকে গিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসবাস সেখানে। জল জমে থাকলে দূষণ এবং সংক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছেন বাসিন্দারা।
এছাড়াও অরবিন্দপল্লী, ট্যান্ডেল পাড়া হাসপাতাল পাড়া সহ একাধিক এলাকায় জল জমে আছে। এদিন চাঁচল থানার সিভিক পুলিশরাও জল নিষ্কাশনের কাজে হাত লাগিয়েছেন।