সংক্ষিপ্ত
- কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে মুর্শিদাবাদ
- তৃণমূলের কাছে বড়সড় টক্কর
- অধীর-শুভেন্দুর অনুগামীরা সামনের সারিতে
- ভোটের আগে অব্যাহত দলীয় অন্তর্ঘাত
বিধানসভা ভোটের আগে ক্রমশই তীব্র হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কংগ্রেস নেতা অধীরের গড় হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদে নিজেদের জমি ফেরাতে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে অধীরের গড় অন্যদিকে, দলত্যাগী শুভেন্দুর অনুগামী এবং তৃণমূলের দলের মধ্যে অন্তর্ঘাত। এই সবকিছু সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে জেলা নেতৃত্ব। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ সফরে গেলেন পুর ও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন-'পরিযায়ীদের জন্য টাকা নেই, চোরেদের বিমান করে নিয়ে যাচ্ছে', বিজেপি তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন নবাব নগরী মুর্শিদাবাদে ঝটিকা সফরে যান পুর ও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জঙ্গিপুরের কাঁকুড়িয়া মাঠ থেকে সভা করে দলীয় নেতাকর্মীদের জোরালো ভোকাল টনিক দিলেন। জানাগেছে, কমপক্ষে ৫০ হাজার লোক জড়ো করতে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পূরণ করতে ব্যর্থ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে দলীয় নেতাদের তীব্র কটাক্ষ করলেন পুরও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বাধা- সাময়িক বিশৃঙ্খলা, 'সভায় এসে দাবি নয়', বললেন মমতা
এদিন মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "বিজেপির সঙ্গে গটাপ গেম করে কোন চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শেষ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদকে নিজের হাতে ধরে রাখতে পারবে না, এটা নিশ্চিত"। তবে শাসকদলের নেতাকর্মীদের একাংশের দাবি, জেলায় তিন-চারটি বিধানসভা কেন্দ্র বাদ দিয়ে বামেদের কোথাও তেমন শক্তি নেই। তাই জোট হলেও তেমন অসুবিধা হবে না। এনআরসি আন্দোলনেও শাসকদলের বড় ভূমিকা ছিল। এই আইনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অন্য কোনও দলের নেতা বা নেত্রী তেমন সরব হননি। সেই কারণেই মুসলিম অধ্যুষিত এই জেলা তৃণমূলের পাশেই থাকবে বলে শাসকদলের নেতারা মনে করছেন।