সংক্ষিপ্ত

  • শহিদ সম্মান জানাতে ঝাড়গ্রামে পৌঁছন তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব  
  • সকালে লালগড়ে শুভেন্দুকে লক্ষ্য করে গদ্দার হাঁটাও স্লোগান
  • দুপুরে নেতাই-এর সভায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করলেন মদন 
  • সভায় উপস্থিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, সৌমেন মহাপাত্র


শহিদ সম্মান জানাতে ঝাড়গ্রামে পৌঁছন তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব।  পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, সৌমেন মহাপাত্র, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি-সহ ঝাড়গ্রাম জেলার নেতারা প্রত্য়েকেই বৃহস্পতিবার হাজির রয়েছেন। তবে বুধবার রাতেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন মদন মিত্র। সেখান থেকেই শুভেন্দুকে আক্রমণ মদনের। 

শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে মদন মিত্র বলেন, 'সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরকেও নরকে যেতে হয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর নরকেও জায়গা হবে না। কারণ  উনি বলেছেন, নেতাই-নন্দীগ্রামের জন্য নাকি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের আসেননি, এসেছিল ভারতীয় জনতা পার্টির নের্তৃত্ব। পাশপাশি স্বজনপোষণ নিয়েও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তিনি। শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, 'বলছে যে তৃণমূলকে ঘেন্না করে। আপনার বাবাও তো তৃণমূল করেন।' তাহলে কী তাঁকেও 'ঘেন্না করেন' বলে প্রশ্ন ছোড়েন মদন মিত্র। 

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ৭  জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাম্প থেকে গুলি করা হয়েছিল প্রতিবাদী গ্রামবাসী দের উপর। ৯জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন কুড়ি জনের বেশি । সেই ঘটনার পর জঙ্গলমহলের লালগড় ও সংলগ্ন এলাকা থেকে সিপিআইএম পুরোপুরি অবলুপ্ত হয়েছিল । মাইলেজ দিয়েছিল তৃণমূলকে । তারপর থেকে প্রতিবছর ওই নেতাই গ্রামের শহীদ দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল।