সংক্ষিপ্ত
- মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে বিজেপির কাছে তৃণমূলের হার
- শাসক দলের হাতছাড়া দুই পুরসভা এলাকা
- শোচনীয় ব্যর্থতার রিপোর্টে ক্ষুব্ধ রাজ্য নেতৃত্ব
- প্রশ্নের মুখে জেলা নেতৃত্ব
বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে বিজেপির কাছে তৃণমূলের হার। এরপরেই কাঁটাছেড়া শুরু শাসক দলের হার নিয়ে। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভা ও মুর্শিদাবাদ পৌর এলাকায় দলের অভ্যন্তরে শোচনীয় ব্যর্থতার রিপোর্ট উঠে আসছে। মূলত জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ শহরে বিজেপি অনেক বেশি ভোটে লিড পেয়ে যাওয়ায় এই কেন্দ্রে তৃণমূল হেরে গিয়েছে। আর এতেই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে 'চোখের বালি' হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্ব বলেই অন্দরের খবর।
জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের ১৭টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। মুর্শিদাবাদ শহরের ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। দুই শহরে তৃণমূলের আমলে রাস্তা সংস্কার, পথবাতি বসানো, এমনকী পানীয় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারপরেও কেন তৃণমূল দুই শহরে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তা নিয়ে দলের অন্দরমহলে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে বলেই বিশেষ সূত্রে খবর। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, দুই শহরে বিজেপির পক্ষে অনেক বেশি মেরুকরণের ভোট হয়েছে। তাছাড়া শহরের কিছু নেতার আচরণও শাসক দলকে বিপাকে ফেলেছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি তথা ঐ কেন্দ্রের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, এই দুই শহরের মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।জিয়াগঞ্জ শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপি সবচেয়ে বেশি ভোটে লিড নিয়েছে। এখানে তারা ১৫২৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছে। ৯নম্বর ওয়ার্ডে ৭৯৭ ভোটে, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ১২২৫ ভোটে, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৭২ ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। তবে কয়েকটি ওয়ার্ডে দুই দলের মধ্যে ভোটের ব্যবধান কম।
তিনি আরও জানান, চার নম্বর ওয়ার্ডে ৩৮, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি ৫৬ ভোটে এগিয়ে আছে। জিয়াগঞ্জ শহর থেকে বিজেপি ৯হাজার ৫৭৪ ভোটে লিড পেয়েছে। মুর্শিদাবাদ শহরেও বিজেপি তৃণমূলের থেকে অনেক বেশি ভোট পেয়েছে। তবে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে বিজেপি পিছিয়ে রয়েছে।এই বিধানসভার অন্তর্গত কাপাসডাঙা পঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল ১১ হাজার ২৬১ ভোটে লিড পেয়েছে। তেঁতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকা থেকেও তারা ১০ হাজার ২৭৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছে।
শহর এলাকায় হারানো জমি উদ্ধার করতে তৃণমূল জনসংযোগের উপর জোর দিচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য দুই শহরের নেতারাই ময়দানে নেমেছেন। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ মনু বলেন, আমরা সব সময় মানুষের পাশে থাকি। এখনও আছি। তারপরেও কেন এরকম ফল হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিশ্চয়ই কিছু ভুল ছিল। তবে শহরের উন্নয়ন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। প্রতিটি ওয়ার্ডেই কাজ হয়েছে। আগামী দিনেও আমরা উন্নয়নে জোর দেব" ।