- বৃহস্পতিবার এফবি পোস্ট ঘিরে তৈরি হয় জল্পনা
- দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা বলেন শতাব্দী রায়
- তড়িঘড়ি আসরে নামেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব
- শুক্রবার দিনের শেষে সিদ্ধান্ত বদল করলেন শতাব্দী
শুভেন্দু অধিকারী, সুনীল মণ্ডলদের ক্ষেত্রে যেটা পারেননি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, শতাব্দী রায়ের ক্ষেত্রে সফল হল ঘাসফুল শিবির। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শনিবার দিল্লি যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। শোনা যাচ্ছিল অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন তিনি। শতাব্দীর ক্ষোভ প্রশমণে তড়িঘড়ি ময়দানে নামেন তৃণমূল। দুপুরে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শতাব্দীর বাড়িতে গিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি শুক্রবার সন্ধ্য়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে পৌঁছান কুণাল ঘোষ। অবশেষে বৈঠকের পর গলল বরফ। আগামিকাল দিল্লি যাচ্ছেন না শতাব্দী রায়। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন দলই আছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। নিজের ফেসবুক ফ্যান ক্লাবের পেজে শতাব্দী রায় জানিয়েছিলেন,'যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিই, ১৬ জানুয়ারি নেব। শনিবার দুপুর ২টোয় জানাব। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, আমাকে কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না কেন ?’ কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়। গত দশ বছরে আমি আমার বাড়ির থেকে বেশি সময় আপনাদের কাছে বা আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে কাটিয়েছি, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কাজ করার, এটা শত্রুরাও স্বীকার করে। তাই এই নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি।' বৃহস্পতিবার একাধিক সংবাদ মাধ্যমেও নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন শতাব্দী রায়। যারপরেই তৃণমূল সাংসদের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তৈরি হয়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি আসরে নামে তৃণমূল শিবির। অবশেষে দিনের শেষে শতাব্দীর ক্ষোভ প্রশমন করতে সফল হন কুণাল ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে শতাব্দী রায় জানিয়ে দেন,'দলের সঙ্গে যে সমস্যা ছিল তা মিটে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে, ভালোবেসেই তৃণমূলে এসেছিলাম। নির্বাচনের আগে তাই দলকে বিপদে ফেলা ঠিক হবে না।' শনিবার আর দিল্লি যাচ্ছেন বা বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বীরভূমের সাংসদ। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন,'শতাব্দী দলেই ছিল, দলেই আছে। কিছু মনমালিন্য হয়েছিল। তার সমাধান হয়ে গিয়েছে।' যদিও এই বিষয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতৃত্বের খোঁচা, শুভেন্দু অধিকারীর সময়ও সাংবাদিক বৈঠক করে সৌগত রায় বলেছিলেন সমস্যা মিটে গিয়েছে। কিন্তু আদতে কি ঘটেছিল। তবে ভবিষ্যৎ অজানা হলেও, প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ঝরে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল শাসক শিবিরে, অবশেষে স্বস্তির হাওয়া।
Read Exclusive COVID-19 Coronavirus News updates, from West Bengal, India and World at Asianet News Bangla.
খেলুন দ্য ভার্চুয়াল বোট রোসিং গেম এবং চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকে। கிளிக் செய்து விளையாடுங்கள்
Last Updated Jan 15, 2021, 10:35 PM IST