সংক্ষিপ্ত

  • তৃণমূলের নয়া জেলা কমিটি ঘিরে বিক্ষোভ
  • দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা
  • জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগ
  • ব্লক সভাপতিকে অপসারণের দাবি দলীয় নেতাদের 

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের আঁচ গিয়ে পড়ল জাতীয় সড়ক ও  দুটি রাজ্য সড়কে। দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ব্যক্তি ব্লক সভাপতি দুর্নীতি গ্রস্ত বলে অভিযোগ দলীয় নেতা কর্মীদের। ওই নেতাকে অপসারনের দাবিতে গোটা পঞ্চায়েত নির্দল ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।

আরও পড়ুন-দিলীপ ঘোষের বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক, মমতার 'জয় বাংলা' স্লোগানকে কটাক্ষ

ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। জানাগেছে, মানিক দাস নামে এক ব্যক্তি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। দলত্যাগের পরই নতুন জেলা কমিটিতে তাঁক ব্লক সভাপতির পদে বসায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থীও হয়েছিলেন, কিন্তু তৃণমূলের কাছে হেরে যান। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতিকে অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকার ভবানীপুর ব্রিজের উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, পরনো কর্মীদের গুরুত্ব বা সম্মান না দিয়ে বিভিন্ন দল থেকে আসা সর্বোচ্চ পদে বসিয়ে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন-নৌকা থেকে গড়িয়ে ভাগীরথীতে পড়ল আস্ত গাড়ি, নদীতে নিখোঁজ প্রধান শিক্ষক

এদিনের অবরোধ-বিক্ষোভে ছিলেন মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আবুল কালাম, মকরম আলি ওরফে স্বপন। তাদের অভিযোগ, ''ব্লক সভাপতি অযোগ্য লোকদের কমিটিতে রেখেছেন। যারা বন্যাত্রানের টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের বড়বড় পদ দেওয়া হয়েছে''। বিজেপি নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, ''কাল পঞ্চায়েতে, আজ রাস্তায় বিক্ষোভ। দলের দ্বন্দ্ব কোথায় পৌঁছেছে তা এতেই স্পষ্ট। কিছুদিন পর দলটাই উঠে যাবে''।