সংক্ষিপ্ত

আলিপুরদুয়ার থেকে দাঁড়িয়েছিলেন অশোক লাহিড়ী

কিন্তু, সেখানকার বিদেপি কর্মীরা বিক্ষোভ জানিয়েছিলেন

এবার বিজেপি এই অর্থনীতিবিদকে নিয়ে গেল বালুরঘাটে

এই কেন্দ্র, গত সাড়ে তিন দশক ধরে বাম-দুর্গ

 

তিনি রাজনীতির মানুষ নন। তাঁর প্রধান পরিচয়, তিনি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। সেই অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অশোক কুমার লাহিড়ীকে এইবার প্রথমে বিজেপি প্রার্থী করেছিল আলিপুরদুয়ার আসনে। সেখানে দলের স্থানীয়দের মধ্যে প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ থাকায়, এবার কেন্দ্র বদলে তাঁকে পাঠানো হল একেবারে বাম-দুর্গ হিসাবে পরিচিত বালুরঘাটে। তবে তাতে এতটুকু দমে যাচ্ছেন না তিনি। অশোক লাহিড়ী বরং বলছেন, রাশিয়া ও চিনও নিজেদের 'সংশোধন' করেছে, বাংলার মানুষও বোকা নন। তাঁরাও পরিবর্তনে ইচ্ছুক।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুঘাট, গত সাড়ে তিন দশক ধরে বামফ্রন্টের শরিক দল আরএসপি (RSP)-র শক্তিশালী ঘাঁটি। ১৯৭৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র একবার ছাড়া বরাবরই এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন আরএসপি প্রার্থীই। তবে, গত এক দশক ধরে ক্রমেই বামপন্থীদের ভোট কমেছে। ২০১১ সালে এই বিধানসভা আসনে জিতেছিল তৃণমূল। ২০১৬ সালে ফের আরএসপি এই আসন ফিরে পেলেও, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বালুরঘাট লোকসভা আসনি জিতেছিল বিজেপি।

এটা পালা বদলের আভাস বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা অশোক লাহিড়ী। তিনি জানিয়েছেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ৭০ বছর পরে কমিউনিস্ট শাসনকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল, চিনও নিজেদের কমিউনিজমকে সংশোধন করেছে। তাই, এতদিন ধরে বালুরঘাট বামেদের সমর্থন করলেও, এবার তাঁরা বিজেপি প্রার্থীর উপরই ভরসা রাখবেন। কারণ, বালুরঘাট এবং বাংলার মানুষ পরিবর্তন-এর প্রয়োজনীয়তা বোঝেন।

দুঁদে অর্থনীতিবিদ বলছেন, কংগ্রেস, বাম এবং তৃণমূল শাসনামলে বিগত ৪৫ বছর ধরে বাংলা ধারাবাহিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে। মাথাপিছু আয় থেকে শুরু করে, শিল্পায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে পিছিয়ে এই রাজ্য। তাই, বাংলার মানুষ এবার আসল পরিবর্তন চাইছেন। তবে, প্রার্থী হিসাবে বালুরঘাটে তিনি বহিরাগত, এলাকা সেইভাবে চেনেনই না। এইক্ষেত্রেও অবশ্য তাঁর ভরসা অর্থনীতির জ্ঞান, তিনি এই বিষয়টা বোঝেন। জয়ী হলে, অর্থনীতি দিয়েই বালুরঘাট ও সার্বিকভাবে বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চান তিনি।