সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল বনাম বা বলা ভালো তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বনাম রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বাগযুদ্ধ নিয়ে তখন থেকেই সরগরম বাংলার রাজ্য রাজনীতি। কখনও মুখ্যমন্ত্রী নিজে সরব হয়েছেন ধনকড়ের ভূমিকা নিয়ে, কখনও আবার রাজভবন থেকে ধেয়ে এসেছে শাসক দল তৃণমূল বিরোধী একাধিক মন্তব্য।

২০২১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বিতর্ক তীব্র হয়। প্রয় প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনামে থাকত নবান্ন ও রাজভবনের দ্বৈরথের খবর। তৃণমূল বনাম বা বলা ভালো তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বনাম রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বাগযুদ্ধ নিয়ে তখন থেকেই সরগরম বাংলার রাজ্য রাজনীতি। কখনও মুখ্যমন্ত্রী নিজে সরব হয়েছেন ধনকড়ের ভূমিকা নিয়ে, কখনও আবার রাজভবন থেকে ধেয়ে এসেছে শাসক দল তৃণমূল বিরোধী একাধিক মন্তব্য। এক ঝলকে বরং দেখে নিন মমতা ধনকড় দড়ি টানাটানির সেরা ১৫টি ইস্যু। 

ধনখড়ের নন্দীগ্রাম সফর নিয়ে তরজা

১.  ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্টও চেয়ে পাঠান। এরপর নিজেই নন্দীগ্রাম পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যপালের সফর নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল। তবে সংবিধান মেনেই সব কাজ করছেন বলে ব্যাখ্যা দেন রাজ্যপালষ সেই সঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন যদি মমতা নিজে সংবিধানকে মান্যতা দেন, তবে দ্রুত যেন রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ হয় রাজ্যে। 

রবীন্দ্র জয়ন্তীতে মমতাকে খোঁচা

২. বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবসেও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল ধনখড়ের মধ্যে। রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা ইস্যু তুলে মমতার অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে ট্য়াগ করে জানান, ভোটদানের অধিকার সকলেরই রয়েছে। সেখানে কখনোই হিংসার শিকার হওয়া কাম্য নয়। 'চিত্ত যেথা ভয় শূন্য-উচ্চ যেথা শির' কবিগুরুর কবিতার লাইন উল্লেখ করে খোঁচা দেন তৃণমূলকে।

নারদা কান্ডে সরব রাজ্যপাল

৩.  তৎকালীন তৃণমূল মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। সম্প্রতি রাজ্যপালের তরফে নারদ কাণ্ডে চার জন অর্থাৎ ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমোদন মিলেছিল। নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় দুই মন্ত্রী-সহ চারজনের গ্রেফতারি ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড শুরু হয় কলকাতায়। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো টুইটারে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন,'এই নৈরাজ্যের পরিণতি কী হতে পারে, আশা করি আপনারা সেটা বুঝতে পারছেন'।

রাজ্যপালের অপসারণ দাবি তৃণমূলের

৪. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ দাবি করে তৃণমূল। দলের তরফে জানানো হয় ‘‘বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা বলেছি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে অপসারণ করা উচিত। তাঁর কাজকর্ম সাংবিধানিক ব্যবস্থার পরিপন্থী। এর ফলে সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই বিপদে পড়ছে।’’

নারদা কান্ডে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারিতে মন্তব্য ধনখড়ের  

৫. নারদকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। উল্লেখ্য, ধনকড়ের অনুমতি পত্র নিয়েই সিবিআই-এর আধিকারিরকার গ্রেফতার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীদের। এর পাল্টা দিতে আসরে নামে তৃণমূল। দলের তরফে বলা হয় বিজেপির পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ধনখড়। নারদকাণ্ড ২০১৬ সালের। সেই মামলায় এতদিন পরে এই করোনাকালে কেন গ্রেফতার করা হবে? তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপালকে 'রক্তচোষা' ও 'পাগল কুকুর' বলে আক্রমণ করেন। সেই সঙ্গে বলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থান থেকে টিকিট পেতে মরিয়া চেষ্টা করেছেন ধনখড়। আর সেই কারণেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে সন্তুষ্ট রাখতে চাইছেন তিনি। বর্তমানে তিনি রক্তচোষা হয়ে গেছেন

রাজভবনের সামনে ভেড়ার পাল 

৬. নারদা কান্ডে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে ভেড়ার পাল নিয়ে প্রতিবাদ করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজভবনের সামনে ভেড়ার পাল নিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ দেখানো হয়। দলের অভিযোগ রাজ্যের মানুষ লকডাউন মেনে বাড়িতে বসে রয়েছে। সেখানে রাজ্যপালের জন্য রাজ্যে রাজনৈতিক জমায়েত হচ্ছে। তাই তৃণমূলের আন্দোলনের স্লোগান ছিল 'রাজ্যপাল না ভেড়ার পাল!' যেখানে ভেড়ার জায়গা সেখানেই ভেড়া নিয়ে এসেছে দল। তাদের কথায় রাজভবন ভেড়ার জায়গা।

পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব ধনখড়

৭. রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পরেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল ধনখড়। পরিষ্কার জানান, পুলিশের মদতেই ভোটে হিংসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক এমন অনর্থক হিংসা, খুন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বন্ধ হওয়া উচিত। এই অরাজকতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বাঙালিরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এবং তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নির্বাচন পরবর্তী হিংসা, কেন গণতন্ত্রের উপরে এই হামলা এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি ইঙ্গিত উঠে আসছে। আতঙ্কিত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছেন।'

মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের 

৮.  ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট পেতে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তলব করেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে  সদ্য নিযুক্ত মুখ্যসচিবকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। মমতাকে নিশানা করে শনিবার মধ্যরাতে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানে একদিকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অপরদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ট্যাগ করে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও বার্তা দিতে চেয়েছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

"আঙ্কেলজি" ধনখড় সম্বোধনে বিতর্কে মহুয়া 

৯. রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আঙ্কেলজি সম্বোধন করে বিতর্কের পারদ চড়ান তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পাল্টা টুইট করে তিনি লেখেন, "আঙ্কেলজি, পশ্চিমবঙ্গের 'উদ্বেগজনক পরিস্থিতির' একমাত্র উন্নতি তখনই হতে পারে যখন আপনি আপনার দুঃখিত মন নিয়ে দিল্লি ফিরে যান এবং সেখানে অন্য একটি চাকরি খুঁজে নেন।" এমনকী, কোন পদ তাঁর জন্য সঠিক হবে তাও বাতলে দিয়েছেন মহুয়া। এ বিষয়ে টুইটারে দুটি পদের উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রথম, সবচেয়ে ভালোভাবে কীভাবে বিরোধীদের আঘাত করতে হবে, সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর পরামর্শদাতা। দ্বিতীয়, অতিমারিতে কতটা সুচারুভাবে লুকিয়ে থাকা যায়, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শদাতা। 

ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যসচিবের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট ধনখড়

১০. ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য রাজ্যে মুখ্যসচিবের দেওয়া রিপোর্টে সন্তুষ্ট হননি রাজ্যপাল। তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। রাজ্যের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে ট্যুইট করে পুলিশের ভূমিকার ওপর প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। তারপরেই নির্বাচন-পরবর্তী যাবতীয়  হিংসার বিস্তারিত রিপোর্ট রাজভবনে পেশ করার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার বিকেল ৫:২০ নাগাদ রাজভবনের পৌঁছান মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করে মুখ্যসচিব বেরিয়ে যেতেই, রাজ্যপাল ট্যুইট করে জানান, ‘ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে পারেননি। আরও বিস্তারিত তথ্য তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল। বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আবার আসতে বলা হয়েছে।’

রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক মমতার

১১. রাজ্যের শাসক দলকে একাধিকবার আক্রমণ করায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে টুইটারে ব্লক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল-এর আচরণ তাঁকে প্রবলভাবে বিরক্ত করেছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। দিনের পর দিন তাঁকে এবং তাঁর সরকার রাজ্যপাল নানাভাবে হেনস্থা করছেন বলেও এদিন কার্যত অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, যখন তখন মন্ত্রী থেকে শুরু করে আমলাদের রাজভবনে ডেকে পাঠাচ্ছেন এবং ধমকাচ্ছেন। একজন রাজ্যপালের এটা কাজ নয় বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল পদটি একটি সাংবাধিনক পদ হলেও তিনি যেভাবে কাজ করছেন তাতে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির মতো তাঁকে দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 

মমতাকে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কড়া চিঠি

১২. রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে কড়া ভাষায় চিঠি লেখেন তিনি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিষ্ক্রিয় ও নীরব রয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন। মন্ত্রিসভায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনার আর্জি জানান রাজ্যপাল।

সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন রাজ্যপাল

১৩. রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়। সেই সংঘাতের মাঝেই আরও একবার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন বলেই অভিযোগ তাঁর। 

দিল্লিতে গিয়ে বারবার ধনখড়ের অভিযোগ শিশুসুলভ-মমতা

১৪. তৃতীয়বার হ্যাট্রিক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার দিন থেকে অহি–নকুল সম্পর্ক তৈরি হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বনাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রথমদিন থেকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। কোনও প্রত্যুত্তর দিতে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য নয়াদিল্লিতে গিয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে নীরবতা ভেঙে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

রাজ্যপালকে বরখাস্ত করার দাবি

১৫. ক্রমাগত বিতর্কের জেরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে জগদীপ ধনখড়কে বরখাস্ত করার দাবি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে বলা হয় সংবিধান অনুযায়ী একজন রাজ্যপালের যে ভূমিকা হওয়া উচিত, বাংলার রাজ্যপাল সেই ভূমিকা পালন করছেন না। উল্টে তিনি বিজেপির মুখপাত্রের মতো কাজ করে চলেছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে রাজ্যপাল যেভাবে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল। দাবি করা হয় রাজ্যে নতুন সরকার আসার পরেই হিংসা দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত। রাজ্যপালের দিল্লি সফরকেও কটাক্ষ করে শাসক দল। বলা হয় বারবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শাহি বৈঠকের কথা বলা হচ্ছে। এমন বৈঠক করে রাজ্যের বিরুদ্ধেই রাজ্যপাল কোনও ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন কিনা তা নিয়েই আমাদের আশঙ্কা রয়েছে।