সংক্ষিপ্ত
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মহিলা, পুরুষ ,শিশু মিলিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। জখমের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
একদিকে যখন জাওয়াদ আতঙ্কে কাঁপছে গোটা রাজ্য সেখানে রাত শনিবার রাতেই ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদ(Horrific bus accident in Murshidabad)। বাংলাদেশ সীমান্ত(Bangladesh Border) ঘেঁষা মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) পন্ডিত পুর এলাকায় রাতে যাত্রী বোঝাই ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। যে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেটি কোনও সরকারি পরিবহন সংস্থার নয় বলে জানা যাচ্ছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মহিলা, পুরুষ ,শিশু মিলিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ২০। জখমের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর পাওযা যাচ্ছে।
শেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই আহতদের উদ্ধার করে কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই শুরু হয়েছে চিকিৎসা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতরাতে জঙ্গিপুর-বহরমপুর গামী রাজ্য সড়কের উপর যাত্রীবোঝাই ওই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পন্ডিত পুর মোড়ের কাছে রাস্তার পাশের একটি নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে। বিকট আওয়াজ শুনে তখনই ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীরা। দ্রুতগতিতে আসার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকের অনুমান। এদিকে নয়ানজুলিতে পড়ে থাকা বাসটির অবস্থা দেখে প্রথমে হতবাক হয়ে যান স্থানীয়া। রাতের অন্ধকার ভেদ করেই আসতে থাকে যাত্রীদের আর্ত চিত্কার।
আরও পড়ুন-শেষবেলায় পুরভোটের প্রচারে খোদ মমতা, একদিনেই রয়েছে চার চারটি সভা
সময় নষ্ট না করে তখনই উদ্ধার কাছে হাত লাগায় স্থানীয়রা। খবর যায় পুলিশে। বাসের কাঁচের জানালা ও গেট ভেঙে আর্তনাদ করতে থাকা জখম যাত্রীদের এক এক করে উদ্ধার করা হয়। বাসের চালকও দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৯ সালেই দেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১.৫১ লক্ষ মানুষের। এরমধ্যে কেবল ১৪টি রাজ্য থেকেই ১ লক্ষ ২৭ হাজারের বেশি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খব র মিলেছে। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের জেরে বছরের অধিকাংশ সময়ই লকডাউন থাকলেও পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার মানুষের। এই তথ্যই এখন থেকে বেশি ভাবাচ্ছে পরিবহন দপ্তরকে।
আরও পড়ুন-কংগ্রেসে না, চব্বিশের রণকৌশল সাজাতে মমতারই হাত ধরতে চান অখিলেশ
এদিকে গত অক্টোবরে মহালয়ার ভোরেও একই ধরণের একটি দুর্ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী থানার অন্তর্গত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে। কলকাতা থেকে কোচবিহারগামী একটি উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার বাস লরিকে ধাক্কা মারে। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় মারা যান তিন জন। অন্যদিকে সেই বারও অভিযোগ ছিল দ্রুত গতিতে আসার ফলেই বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক।