সংক্ষিপ্ত

একটানা সাতবছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক থাকার মাঝেই দুজনের মধ্যে যেমন শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তেমনই তারা গোপনে বিয়ে ফেলেন। কিন্তু তরুণীর প্রেমিক সূরজ তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। প্রেমিক সূরজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, ওই তরুণীকে সামাজিকভাবে বিয়ের মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলবেন সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েই মেলামেশা করতেন এবং সেই সঙ্গে ঘণিষ্ঠ মুহুর্তও কাটাতেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সূরজ তাঁর কথা না রাখায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বছর কুড়ির ওই তরুণী

দীর্ঘ ৭ বছরের প্রেমের সম্পর্ক (7 Years Relation)। সম্পর্কের বয়স যত বেড়েছে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শারীরিক সম্পর্কের (Physical Relation) চাহিদাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রেমের পরিণতি হল আত্মহত্যায় (Suicide)। প্রসঙ্গত, বছর কুড়ির এক তরুণী ফুলতলায় তাঁর মামার বাড়িতে থাকত। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দা সুরাজ বিশ্বাসের সঙ্গে পরিচয় হয় সেই তরুণীর। একটানা সাতবছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক থাকার মাঝেই দুজনের মধ্যে যেমন শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তেমনই তারা গোপনে বিয়ে ফেলেন। কিন্তু তরুণীর প্রেমিক সূরজ (Suraj Biswas) তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। প্রেমিক সূরজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, ওই তরুণীকে সামাজিকভাবে বিয়ের মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলবেন সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েই মেলামেশা করতেন এবং সেই সঙ্গে ঘণিষ্ঠ মুহুর্তও কাটাতেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সূরজ তাঁর কথা না রাখায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বছর কুড়ির ওই তরুণী (20 Years Girl)। 

প্রেমিক সূরজ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তরুণীকে আত্মহত্যায় (Suicide) প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তরুণীর পরিবার প্রেমিক সূরজ ও তাঁর পরিবারকে কাঠগোড়ায় তুলেছে। তাঁদেরকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব তরুণীর পরিজনেরা। শুধু তাই নয় মৃত তরুণীর দেহ নিয়ে প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখিয়েছেন প্রেমিকার আপনজনেরা। এই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ (Bangao) থানার ফুলতলা কলোনি এলাকায়। স্থানীয় থানায় প্রেমিকার পরিবারের তরফে অভিযোগ জানান হলে পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ কৃষ্ণনগরেই মায়ের কাছে থাকাকালীন তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। দেহ ময়নাতদন্ত হয় তাঁর। রবিবার রাতে নিয়ে আসা হয় সুরাজের বাড়ির সামনে। 

তরুণীর দিদি বলেন, মাসদুয়েক আগে বোন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই সময় তাঁকে কৃষ্ণনগরে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ওই তরুণীর বাবার মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। মা কৃষ্ণনগরে বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান তিনি। বোনের মানসিক অবস্থা ভাল নয় দেখেই মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া তাঁকে। তরুণীর দিদি আরও দাবি করেন যে, সূরজ বং তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর বোনকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছিল। ভয় পেয়েই এক প্রকার আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সূরজের প্রেমিকা। তরুণীর মোবাইল থেকে মিলেছে সুইসাইড নোটও। তবে অভুযুক্তরা আপাতত পলাতক। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, সূরজ সহ বাকি অভিযুক্তরা এখন পলাতক। তবে তাঁদের খুঁজতে জোড় কদমে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।