সংক্ষিপ্ত

বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু যুবক মৃত চিতা বাঘের সঙ্গে সেলফি তুলে পোস্ট করেছিলেন। পোস্টটি রীতিমত ভাইরাল হয়। এরপর ওই পোস্ট বনদফতর ও প্রশাসনের নজরে যেতেই তাঁরা তদন্ত শুরু করেন।

কয়েকদিন আগে মৃত চিতাবাঘের (Leopard) সঙ্গে সেলফি (Selfie) তুলে পোস্ট করেছিলেন কয়েকজন যুবক। রীতিমতো ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় সেই পোস্ট। তারপর সেই চিতাবাঘের মাংস রান্না (Cooking) করে খেয়েওছিলেন তাঁরা। এরপর চিতাবাঘের চামড়াও তাঁরা বিক্রি করার চেষ্টা করেন। আর এই ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে তিন যুবককে। 

বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) বেশ কিছু যুবক মৃত চিতা বাঘের সঙ্গে সেলফি তুলে পোস্ট করেছিলেন। পোস্টটি রীতিমত ভাইরাল হয়। এরপর ওই পোস্ট বনদফতর ও প্রশাসনের নজরে যেতেই তাঁরা তদন্ত শুরু করেন। চিতাবাঘের সঙ্গে কীভাবে কেউ সেলফি তুলতে পারে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছিলেন তাঁরা। এরপর আসল বিষয়টি জানতে শুরু হয়েছিল তদন্ত। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে তা বন দফতরও ভেবে উঠতে পারেনি। এই ঘটনায় হতবাক গোটা দফতর।

আরও পড়ুন- বন্দুক হাতে পোজ তৃণমূল নেতার, ভোটের আগে 'প্রশিক্ষণ' বলে কটাক্ষ বিজেপির

গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে, এসএসবি ইন্টালিজেন্স টিম জায়গাটি শনাক্ত করে। সেই মতো এসএসবি ও ফাঁসিদেওয়া ঘোষপুকুর বনদফতরের আধিকারিকরা শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ফৌজি জোট এলাকার একটি প্রাইমারি স্কুলের পাশে থাকা এক বাড়িতে হানা দেয়। এবং সেই বাড়ি থেকে হাতেনাতে দুই যুবক-সহ চিতাবাঘের ছালটি আটক করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ঘোষপুকুর বনদফতরের কার্যালয়ে। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা যায় এই ঘটনার সঙ্গে আরও এক যুবক জড়িত রয়েছেন। পরে সেই যুবককেও আটক করা হয়। এমনকী, ওই তৃতীয় যুবকের কাছ থেকে চিতাবাঘের পায়ের কিছু অংশও পাওয়া গিয়েছে। তারপর সব তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। 

আরও পড়ুন- ২ বছরে ১৫টি সম্বন্ধ দেখার পরও হয়নি বিয়ে, একাধিকবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মঘাতী যুবক

ধৃত তিন যুবকের নাম তাপস খুড়া (২০)। তিনি মালবাজার রানীচিরা চা বাগানের বাসিন্দা। মুকেশ কেরকাট্টা (১৮)। তিনি রাইলাইন বারোপুটিয়া বাসিন্দা। আর পিতালুস কেরকাট্টা (২৪)। তিনি রাইলাইন কমলা চা বাগানের বাসিন্দা। তাঁদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১১০ সেন্টিমিটার লম্বা ও ৫০ সেন্টিমিটার চওড়া বাঘের ছাল। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে পায়ের পাঞ্জা, দুটি মোটরবাইক। 

আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে ধাক্কা, অভিষেক-রুজিরার আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট

তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রীতিমতো হতবাক হয়ে যান বনদফতরের আধিকারিকরা। জানতে পারেন, চিতাবাঘের ছাল বার করে নেওয়ার পর অবশিষ্ট মাংস রেঁধে খেয়ে নিয়েছিলেন ওই তিন যুবক। তবে চিতাবাঘটির  স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছিল নাকি তাকে শিকার করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে। ধৃত তিন যুবকের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী মারা ও চিতা বাঘের ছাল পাচারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। অপরদিকে এই তিন যুবক ছাড়া এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ঘোষপুকুর বনবিভাগের পক্ষ থেকে।