সংক্ষিপ্ত
তুলসিহাটা অঞ্চলের কামারতা গ্রামে একই কায়দায় জমিতে শিয়ালের দ্বারা আক্রান্ত হন কৃষক সকাল দাস (৪০)। তবে সকালের পাল্টা আক্রমণে ঘটনাস্থলে একটি শিয়ালের মৃত্যু হয়। সকালকেও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ফের শিয়ালের হানা (Fox Attack) মালদহের (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishchandrapur)। এই ঘটনার জেরে ৪ জন কৃষক (Farmer) জখম হয়েছেন। শিয়ালের হানাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। মাঝে মধ্যেই ওই এলাকায় শিয়ালের হামলার জেরে বহু মানুষ জখম হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা (Harishchandrapur Police Station) এলাকার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডহরা এলাকায় শুক্রবার সকালে ধান কাটতে যান এলাকার কৃষক আয়নাল হক (৫৮), মাসিরুল হক (১৮) ও রবিউল ইসলাম (২৪)। ধান কাটার সময় অতর্কিতে জমি থেকে শিয়াল বেরিয়ে তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি শিয়াল একসঙ্গে হামলা চালায়। শিয়ালের হানায় গুরুতর জখম হন কৃষক আয়নাল হক ও তাঁর ছেলে মাসিরুল হক এবং প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম। তাঁদের তিনজনের শরীর থেকে মাংস খুবলে নিয়ে শিয়ালগুলি পালিয়ে যায়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে সেখান থেকে তাঁদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Chanchal Super Speciality Hospital) স্থানান্তরিত করা হয়। এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা।
আরও পড়ুন- Malda fox Case: ভোর রাতে অতর্কিত হানা শিয়ালের! গুরুতর জখম ২০
অন্যদিকে, সকালের দিকে একই সময়ে তুলসিহাটা অঞ্চলের কামারতা গ্রামে একই কায়দায় জমিতে শিয়ালের দ্বারা আক্রান্ত হন কৃষক সকাল দাস (৪০)। তবে সকালের পাল্টা আক্রমণে ঘটনাস্থলে একটি শিয়ালের মৃত্যু হয়। সকালকেও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সকাল সকাল শিয়ালের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়।
ইতিমধ্যেই শেয়াল আক্রমণের ঘটনাগুলি বিধানসভায় তুলেছিলেন এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন (MLA Tajmul Hossain)। সরকারের কাছে শেয়াল নিয়ন্ত্রণ এবং এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাতে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) আশ্বাস দেন যে শেয়াল নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু, সেই আশ্বাস দেওয়ার পর এলাকায় একের পর এক শিয়ালের হানার ঘটনা ঘটছে। আর তার জেরে আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।
এ প্রসঙ্গে, তুলসিহাটা এলাকার বাসিন্দা তপন বলেন, "আমার দাদা সকালবেলা একটি ছাগলকে শিয়ালের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হয়েছিল। দিনের-পর-দিন শিয়াল হানার ঘটনা বেড়েই চলেছে। আমরা চাই প্রশাসন এ ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নিক।"
এর আগে ১১ নভেম্বর ভোর রাত্রে অতর্কিতে একদল শেয়াল হানার দিয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। জখম হয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ নম্বর ব্লক এলাকার হরদম নগর গ্রামের ৪০ জনের বেশি বাসিন্দা। এদের মধ্যে গুরুতর জখম হন ২০ জন।