সংক্ষিপ্ত
এদিকে ২০২১ সালের ১১ জুন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তারপর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ (Mukul Roy's MLA post) নিয়ে এখনও অব্যাহত চাপানউতর। এদিকে আগামী জুন-জুলাই মাসের দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন(Presidential election of the country)। তার আগে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যের বিধায়ক সংখ্যা জানতে চেয়েছিল বিধানসভার কাছে। যাতে দেখা যাচ্ছে মুকুল রায়-সহ পাঁচ জন দলবদল করা বিধায়ক এখনও খাতায় কলমে বিজেপি হিসেবেই রয়ে গিয়েছেন। এই তথ্য সামনে আসতেই নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতর। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ (Supreme Court directive) অনুযায়ী চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার কথা। আগমী ১৪ তারিখের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Speaker of the Legislative Assembly Biman Banerjee)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে তথ্য দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সচিবালয়। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ২১৮ জন বিধায়ক এবং বিজেপির ৭৫ জন বিধায়ক দেখানো হয়েছে। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী, বিরোধী দলের বিধায়ককেই পিএসি চেয়ারম্যান করা হয়। সেই নিয়ম মেনেই মুকুল রায় এখনও পিএসি চেয়ারম্যান। যদিও এই ইস্যুতে এর আগে একাধিকবার সরব হয়েছে বিজেপি। যদিও খাতায় কলমে বিজেপি এখনও বিধায়ক হিসাবে মুকুল রায়কে অস্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন-করোনা যুদ্ধে নয়া মাইলফলক, কমেছে বেকারত্ব, ভোটের মুখে ৫ বছরের সাফল্যের খতিয়ান যোগীর
আরও পড়ুন- সরস্বতী পুজো নিয়ে TMCP-র ২ গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, পুলিশের সামনেই মারধর লালবাবা কলেজে
এদিকে ২০২১ সালের ১১ জুন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। একইসাথে দলবদলের তালিকায় নাম রয়েছে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের। অন্যদিকে বর্তমান বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭০। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত হলে ঘটনাক্রম কোনিদেক মোড় নেয় এখন সেটাই দেখার। এদিকে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে ৬৮ পাতার একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিধানসভায় ১২ টি শুনানি হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে এই ইস্যুতে রাজ্যের উপর সমান্তরাল চাপ বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সব মিলিয়ে বিধায়ক জটিলতার জল এখন কোনদিকে গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার।