সংক্ষিপ্ত
চলতি বছরে সরস্বতী পুজো কারা করবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে বলে জানা যায়। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে কলেজ চত্ত্বরে।
করোনা ফাঁস আলগা হতেই সরস্বতী পুজোর মুখে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই ফের খুলে গিয়েছে স্কুল-কলেজ। এদিকে কলেজ খোলার প্রথম দিনে ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধে যায় হাওড়ার বেলুড় লালবাবা কলেজে। চলতি বছরে সরস্বতী পুজো কারা করবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে বলে জানা যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Chatra Parishad) মহিলা সদস্যরা একে অপরের অপরের চুলের মুঠি ধরে মারামারি করে বলে অভিযোগ। এমনকী তাদের মারামারির একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) । এদিকে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে কলেজ চত্ত্বরে।
এদিকে ছাত্র সংঘর্ষের খবর পেয়েই বালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিবাদমান দুই পক্ষই বালি থানায় অভিযোগ করছে একে অপরের বিরুদ্ধে। এদিকে প্রজ্ঞা পুরকাইত সাউ নামে কলেজের প্রাক্তন সাংস্কৃতিক সম্পাদক অভিযোগ করেন অভিজিৎ রায় নামে বালি ব্লক কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে এসে প্রথম হামলা চালায়। তখন থেকেই নাকি মূল উত্তেজনার সূত্রপাত। এদিকে কলেজে বর্তমানে ইউনিয়ন না থাকায় সমস্যা অন্যান্য আঙ্গিকে বেড়েছে বলেও দাবি তাদের। বালি ব্লক কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনারের বিরুদ্ধে আরও কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সহযোগীতা না করারও অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন- দেউচা-পাচামিতেই দেশের সেরা পুনর্বাসন প্যাকেজ, আন্দোলনের আবহেই বড় ঘোষণা সরকারের
এদিকে তার পক্ষে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিজিৎ রায় জানান কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা ডাকলে তিনি আসেন। তবে আজ কি হয়েছে তিনি জানেন না। তবে জানা গেছে এবছর সরস্বতী পূজা করা নিয়ে দুপক্ষ কলেজে আসে তখনই ঝামেলা বাঁধে। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জয় পাল বলেন দুপক্ষ পুজো করতে চেয়েছিল। তাঁর কাছে এই বিষয়ে একাধিক দাবি নিয়েও এসেছিল তারা। কিন্তু তারপর ঝামেলা হয়। এদিকে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে কলেজের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন- রাজ্যজুড়ে বিশাল মিছিল, দুর্গাপুজোয় বিশ্বকে চমকে দেবে বাংলা, UNESCO’র স্বীকৃতিতে পাল্টা কৃতজ্ঞতা মমতার
অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কলেজেরই ছাত্রী আগমনী মন্ডল বলেন, "কলেজে যখন ঢুকি তখন সুলতা চক্রবর্তী, শুভজিত রায়ের লোকজন আমাদের দেখে টোন-টিকটারি কাটতে থাকে, বাজে বাজে কথা বলে। এরপর আমাদের যখন ক্লাস শেষ হয়ে যায় তখন সিড়ি থেকে যখন নামছিলাম তখন একটা বহিরাগত ছেলে আমাকে টানতে টানতে মারল। আমাকে যখন বাঁচাতে গেল পল্টুদা, শান্তনু, আর তিতলি দিদি তখন তাদেরকেও ওরা ধরে মারে। এদিকে তখন কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই ৫০-৬০ জনের জমায়েত দেখা যায়। আমাকে যখন মারে তখন পুলিশ প্রিন্সিপাল সবাই ছিল সেখানে। তাদের সামনেই মারধর করা হয়।"
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশেও লড়বে তৃণমূল, কোন ভোটে প্রার্থী দেবে ঘাসফুল শিবির, জানালেন মমতা