সংক্ষিপ্ত
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ৮ হাজার পড়ুয়াকে বিমানের ফিরিয়ে আনার জন্য মহেশ্বেতার জন্য গর্বিত অশোকনগরের সাধারণ মানুষেরাও। মহেশ্বেতা চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই বারেবারে উঠে এসেছেন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই চিন্তা বেড়েছে এদেশেও। সেদেশে আটকে থাকা পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনতে শুরু থেকেই ঝাঁপিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু যাদের হাত ধরে সেদেশে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা এদেশে ফের ফিরতে পারছেন তাদের মধ্যেই অন্যতম বাংলার মেয়ে মহাশ্বেতা চক্রবর্তী। ইউক্রেন থেকে পড়ুয়া উদ্ধারের এই অভিযানে সামিল হয়েছিল কলকাতার নিউটাউনের মেয়ে মহাশ্বেতা চক্রবর্তী। যাকে নিয়েই আজ গর্ব করছে গোটা দেশ। অপারেশন গঙ্গার অধীনে ২৪ বছরের মহাশ্বেতা ২টি ফ্লাইটের মাধ্যমে পোল্যান্ড থেকে ছাত্রদের ভারতে আনতে বিশেষ অবদান রেখেছেন। যা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা চলছে গোটা দেশেই।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ৮ হাজার পড়ুয়াকে বিমানের ফিরিয়ে আনার জন্য মহেশ্বেতার জন্য গর্বিত অশোকনগরের সাধারণ মানুষেরাও। মহেশ্বেতা চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই বারেবারে উঠে এসেছেন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। অশোকনগরের এই মেয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে প্রায় 8 হাজার পড়ুয়া কে নিয়ে দেশে ফিরেছে বিমান চালিয়ে। তার এই কাজে খুশি এলাকার প্রতিবেশীরা। ছোটবেলা থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্রী হিসাবেই পরিচিতি ছিল মহেশ্বেতার। এমনটাই জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। তবে এই খবর শোনার পর আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি তারা কেউই। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এলাকার বাসিন্দা অজিত চক্রবর্তী বলেন, “ও তো আমার নাতির সমান। ওর দাদু তিনি ছিলেন প্রায় আমার সমবয়সী। সে আমার বন্ধু ছিল। কলেজের প্রফেসর ছিলেন তিনি। পিন্টু হচ্ছে তাঁর ছেলে। তার বউ তনুজা চক্রবর্তী।ওদেরই মেয়ে মহাশ্বেতা। আমার সাথে ওর সম্পর্ক আত্মীয়ের মতো।আমাদের পুজো হয়। ও যেখানেই থাক ও ঠিক পুজোর দিন চলে আসে। ও আমার প্রাণের লোক।”
আরও পড়ুন- অসম-বাংলা সীমান্তে ট্রাক থেকে উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু, গ্রেফতার দুই পাচারকারী
আরও পড়ুন- বিএসএফ-র তৎপরতায় আটকাল পাচার, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত ধরেই বাংলাদেশে ফিরে গেল ২ যুবতী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চের মধ্যে মহাশ্বেতা অনেক ভারতীয়ের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করেছেন। যার জন্য তাঁর প্রশংসাও করেছে গোটা দেশ। নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আগেই মহাশ্বেতা বলেন, “গভীর রাতে ফোনটা এসেছিল। বলা হয়েছিল যে আমাকে অপারেশন গঙ্গার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। যার কাজ ইউক্রেনে আটকে থাকাদের উদ্ধার করা।” এদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে ভারতীয়দের বের করে আনতে ভারত সরকার ৭৭টি ফ্লাইটের মাধ্যমে অপারেশন গঙ্গা পরিচালনা করছে। এই মিশনেই নিরলস পরিশ্রম করে বহু ভারতীয়ের প্রাণ বাঁচিয়েছেন বাংলার এই লড়াকু কন্যা।