সংক্ষিপ্ত
গত সপ্তাহে কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণার অভিযোগে এক চক্রের পাণ্ডা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। স্বাস্থ্য বিমা করানোর টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।
ভুয়ো কল সেন্টার খুলে দেশে ও বিদেশে টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেক সেক্টর ফাইভের ম্যাট্রিক্স বিল্ডিংয়ে অফিস খুলে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা করত ধৃতরা।
গত সপ্তাহে কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণার অভিযোগে এক চক্রের পাণ্ডা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। স্বাস্থ্য বিমা করানোর টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। তবে এই চক্র শুধুমাত্র দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দেশ থেকে বিদেশ সব জায়গার মানুষকেই টার্গেট করে স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে দেওয়ার নামে ফাঁদ পাত অভিযুক্তরা।
অভিযোগ, একবার স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে নেওয়ার পর ধাপে ধাপে নেওয়া হত টাকা। আর পুরো টাকা নেওয়ার পরই গ্রাহকদের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখত না তারা। বুধবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বহুতলে হানা দেয় নিউটাউন থানার পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের মূল পাণ্ডা কমলেশ কুমার আর্য সহ ৯ জনকে। তাদের থেকে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, মোবাইল ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিজেপি, কংগ্রেস-সহ ৯ দলের জরিমানা, 'রাজনীতিকে অপরাধহীন' করতে বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন- সরকারি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ, বিক্ষোভ বালুরঘাটে
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত ৯ জনকেই আজ বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাদের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন করবে বিধাননগর পুলিশ।
তবে এটাই প্রথম নয় গতমাসের শেষদিকে কড়েয়া ও তারাতলা, কলকাতার দুই জায়গায় ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ পায় পুলিশ। তারাতলার আইটি পার্কেই রমরমিয়ে চলছিল ভুয়ো কলসেন্টার। কাস্টমার সার্ভিসের কথা বলে জেনে নেওয়া হতো ব্যক্তিগত তথ্য। এরপরই, গ্রাহকদের থেকে হাতানো হতো টাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারাতলার ওই কলসেন্টারে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা। সেই সময় ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় বেশ কিছু হার্ডডিস্ক। অন্যদিকে, কড়েয়াতেও তল্লাশি চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।