সংক্ষিপ্ত

  • গৃহশিক্ষকের কাছে পড়া না পারায় ছেলে বকুনি দিয়েছিলেন বাবা-মা
  • অভিযানে আকত্মহত্যা করল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র
  • বাড়িতেই তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের লোকেরা
  • হাসপাতালে ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন পরিবারের লোকেরা

গৃহশিক্ষকের কাছে পড়া পারেনি, ছেলেকে বকুনি দিয়েছিলেন বাবা-মা। অভিমানে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করল অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। শোকের পাথর হয়ে গিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা নৈহাটিতে।

নৈহাটির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়নগর এলাকায় স্ত্রী ও ছেলের থাকেন দিলীপ দত্ত। একসময়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বছর কুড়ি আগে ওই দম্পতির এক ছেলে মারা যায়।  দীর্ঘ চিকিৎসার পর ফের এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন দিলীপের স্ত্রী। কিন্তু এবারও সন্তান সুখ বেশি দিন স্থায়ী হল না! ফের সন্তানকে হারালেন ওই দম্পতি।  

জানা গিয়েছে, নৈহাটির মহেন্দ্র স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন দিলীপ দত্তের ছেলে দেবজ্যোতি। গৃহশিক্ষকের কাছে পড়া না পারায় সোমবার সকালে ছেলেকে বকাঝকা করেছিলেন দিলীপ ও তাঁর স্ত্রী।  পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বকঝকার পর যখন দেবজ্যোতিকে জলখাবার খেতে ডাকেন তাঁর বাবা-মা , তখন খাবার নিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে চলে সে। এবং দরজা বন্ধ করে দেয়।  কিন্তু অনেকক্ষণ দেবজ্যোতি দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের।  কিন্তু ডাকাডাকি করেও ওই কিশোরের কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙে ফেলেন বাড়ির লোকেরা। ঘরে ঢুকে তাঁরা দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে দেবজ্যোতি! তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে দেবজ্যোতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিকে ছেলেকে হারিয়ে শোক পাথর হয়ে গিয়েছে দিলীপ দত্ত ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের আক্ষেপ, সামান্য বকাবকির কারণে ওই স্কুল পড়ুয়া যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে, তা ভাবতেই পারেননি তাঁরা।