সংক্ষিপ্ত

  • সোদপুর থেকে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
  • পুরুলিয়া থানার পুলিশ এসে গ্রেফতার করে বলে দাবি
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন কংগ্রেস নেতা
  • গ্রেফতারি নিয়ে অন্ধকারে পরিবার
     

কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখেছিলেন। তার পরেই রহস্যজনকবভাবে গ্রেফতার করা হল রাজ্য কংগ্রেসের নেতা এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর চব্বিশ পরগণার কংগ্রেস নেতা সন্ময়বাবুর এই গ্রেফতারির পর থেকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সন্ময়বাবুর পরিবারের অভিযোগ, সোদপুর এক পরিচিতর বাড়ি থেকে আচমকা গ্রেফতার করার পর পুরুলিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সন্ময়বাবুকে। কিন্তু সরকারিভাবে গ্রেফতারির কথা তাঁদের জানানোই হয়নি। ফলে কংগ্রেস নেতা কোথায় রয়েছেন, সে বিষয়ে এখনও তাঁর পরিবার অন্ধকারে। 

পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে অবশ্য খবর, সন্ময়বাবুর মেডিক্যাল পরীক্ষার পরে এ দিনই তাঁকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হবে। সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তার প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে। প্রসঙ্গত গত বিধানসভা নির্বাচনে পানিহাটি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সন্ময়বাবু। 

আরও পড়ুন- কেন গ্রেফতার সন্ময়, প্রতিবাদে বিক্ষোভে বাম- কংগ্রেস, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন- খোঁজ মিলল ধৃত সন্ময়ের, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ পুলিশের, দেখুন ভিডিও

কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা খোলা চিঠিতে সন্ময়বাবু অভিযোগ করেন, সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় গভীর রাতে বাড়ি বয়ে এসে তাঁর বৃদ্ধ দাদাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে শাসিয়েছে দুই গাড়ি পুলিশ। তাঁর আরও অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেও পরের পর মিথ্যে মামলা দায়ের করছে পুলিশ। কটাক্ষের সুরেই মুখ্যমন্ত্রীকে 'ধন্যবাদ' জানিয়েছিলেন এই কংগ্রেস নেতা। 

সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্ট

অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে খড়দহের বাসিন্দা সন্ময়বাবু সোদপুরে নিজের এক পরিচিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে থেকেই পুলিশের একটি দল হানা দিয়ে সন্ময়বাবুকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে কংগ্রেস নেতাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও প্রথমে তাঁকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে, বা পুলিশ তাঁকে নিয়ে গিয়েছে সেটাও তাঁর পরিবার জানতে পারেনি বলে অভিযোগ। এর পরেই সন্ময়বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে খড়দহ থানায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে এফআইআর করতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি বলে অভিযোগ। শুধু পুরুলিয়া থানায় যোগাযোগ করার জন্য সন্ময়বাবুর পরিবারকে জানানো হয়। 

রাতেই সন্ময়বাবুর পরিবার এবং পরিচিতরা পুরুলিয়া রওনা হন। যদিও সেখানে গিয়েও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। সন্ময়বাবুর দাদা তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তা জানাতে চায়নি পুলিশ। গ্রেফতার করা হলেও কী কারণে করা হয়েছে, সে বিষয়েও তাঁরা অন্ধকারে রয়েছেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুরুলিয়া থানায় যান বিধায়ক নেপাল মাহাতো। কংগ্রেস কর্মীরাও থানার বাইরে জড়ো হন।