সংক্ষিপ্ত
বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যকে তিন মাসের সময় দিয়েছিল আদালত। গত মে মাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুসারে তিন মাসের সময়সীমা শেষ হয় গত ১৯ অগাস্ট। সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও বকেয়া ডিএ মেটায়নি রাজ্য সরকার। এমনকী ডিএ দেওয়ার প্রক্রিয়াই এখনও শুরু করেনি রাজ্য।
তিন মাসের মেয়াদ ফুরলেও বকেয়া ডিএ মেটায়নি রাজ্য সরকার। ফের একবার আদালতে দ্বারস্থ ইউনিটি ফোরাম। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে কোর্টের নির্দেশ অবমাননার মামলা দায়ের করা হল।
বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যকে তিন মাসের সময় দিয়েছিল আদালত। গত মে মাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুসারে তিন মাসের সময়সীমা শেষ হয় গত ১৯ অগাস্ট। সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও বকেয়া ডিএ মেটায়নি রাজ্য সরকার। এমনকি ডিএ দেওয়ার প্রক্রিয়াই এখনও শুরু করেনি রাজ্য। এই মর্মে এবার কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হল। আগামী ২৫ অগাস্ট এই মামলার শুনানি হবে।
এবার প্রশ্ন উঠছে পুজোর জন্য যদি কমিটিগুলিকে আড়াই হাজার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে তাহলে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন সরকারি কর্মচারিদের বকেয়া ডিএ মেটাচ্ছে না রাজ্য?
আরও পড়ুন - রাজ্য সরকারি কর্মীদের কবে বাড়বে মহার্ঘ ভাতা, হাইকোর্টে কী বলছে রাজ্য?
ডিএ ইস্যুতে সরব বিরোধীরাও। রাজ্যের এই আচরণকে 'ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি' বলেও কটাক্ষ করছেন অনেকেই। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,"টাকা নেই তাই ডিএ বাদ। অথচ পুজোর অনুদানের নামে কোটি কোটি টাকা বিলিয়ে দিচ্ছে।”
আরও পড়ুন - তহবিল সংকটের মধ্যেও একধাক্কায় ৫% বাড়ল DA ও DR, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে মামলা দায়ের করা হইয়েছিল ২০১৬ সালে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম ডিএ পায় রাজ্যের কর্মীরা। এই মামলার প্রেক্ষীতেই তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে।
আরও পড়ুন - রাজ্যসভায় ' কোপে ' তৃণমূল, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে রাজ্যসায় সাসপেন্ড ১৯ বিরোধী সাংসদ