সংক্ষিপ্ত
কবে বিজেপির অভিযানের কর্মসূচি হবে, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১৩ সেপ্টম্বর নতুন দিন ঠিক হয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব, দলের পক্ষ থেকে এর ঘোষণাও করা হবে।
৭ সেপ্টেম্বর তারিখটি আগেই ঠিক করা হয়েছিল বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচির জন্য। কিন্তু, ওই দিন করম পরব হওয়ায় বাতিল করা হল সেই তারিখ। তার বদলে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান হওয়ার সম্ভাবনা।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া। এখন থেকেই শহর ও জেলাগুলিতে তৈরি হয়ে গেছে দুর্গাপুজোর আবহ। তাই কবে বিজেপির অভিযানের কর্মসূচি হবে, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১৩ সেপ্টম্বর নতুন দিন ঠিক হয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব, দলের পক্ষ থেকে এর ঘোষণাও করা হবে।
রাজ্য বিজেপির নেতা জানিয়েছেন, নবান্ন অভিযান কর্মসূচির প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই চলছিল। ৭ সেপ্টেম্বর করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। সেই দিনটি বাদ দেওয়ার পর প্রস্তুতি অবশ্য বন্ধ করা হয়নি। এখন নতুন দিন ঘোষণার আগে ফের সেই প্রস্তুতিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। পদ্ম শিবির ঠিক করেছে, আগামী ১৩ সেপ্টম্বর, মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল শুরু হবে। সব মিছিলেরই গন্তব্য হবে হাওড়ার নবান্ন। পথে পুলিশ বাধা দিলে কোথায়, কী করা হবে, সেই পরিকল্পনাও করছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
সোমবার কলকাতায় বিজেপির হেস্টিংস দফতরে রাজ্য কমিটির নেতারা বৈঠক করেন। সেখানে রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসাবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া সুনীল বনসলের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বনসল ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে, নবান্ন অভিযান কর্মসূচির আগে তিনি বাংলায় আসবেন। মঙ্গলবারও হেস্টিংসে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে দলের বিভিন্ন মোর্চা ও সেলের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা রাজ্য নেতৃত্বের। সেটাও নবান্ন অভিযান কর্মসূচির দিকে লক্ষ্য রেখেই হওয়ার কথা।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মিছিল, জনসভা করছে। এর পরে নবান্ন অভিযানের জন্যও একই ভাবে জেলায় জেলায় কর্মসূচি নেওয়ার প্রস্তুতি। প্রতিটি জেলার দায়িত্ব আলাদা আলাদা করে রাজ্য নেতাদের মধ্যে ভাগ করা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপির লক্ষ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচিতে যাতে গ্রামের কর্মী, সমর্থকদের অধিকাংশদের কলকাতায় নিয়ে আসা যায়, সেই উদ্দেশ্য নেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফলের বিচারে, জঙ্গলমহল এলাকায় বিজেপি ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। তাই এখন গেরুয়া শিবিরের মূল লক্ষ্য, ওই কর্মসূচিতে বেশি করে আদিবাসী এলাকার মানুষদের সামিল করা।
আরও পড়ুন-
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বার্তা এসেছে: টুইটারে বিস্ফোরক মনীশ শিশোদিয়া
মিডিয়া যেতেই তাণ্ডবস্থল সাফাই! নারকেলডাঙায় বিজেপি কর্মীর গুরুতর আহত স্ত্রীকে দেখতে মেডিকেলে সুকান্ত মজুমদার
শুভেন্দুর এলাকায় তৃণমূলের জয়জয়কার, সমবায় ভোটে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি