সংক্ষিপ্ত
বড়দিনে মেতে উঠল সীমান্তের প্রাচীন শহর আজিমগঞ্জ। ক্যাথলিক গির্জা চত্বরে কয়েক দিন ব্যাপী উৎসবের আয়োজন।শনিবার সকাল গড়িয়ে দুপুর নামতেই মুর্শিদাবাদের প্রাচীন শহর আজিমগঞ্জের রোমান ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের উৎসব শুরু হয়ে গেল মহাসমারোহে।
বড়দিনে (Christmas 2021) মেতে উঠল সীমান্তের প্রাচীন শহর আজিমগঞ্জ ( Catholic Church premises in Azimganj )। ক্যাথলিক গির্জা চত্বরে কয়েক দিন ব্যাপী উৎসবের আয়োজন।শনিবার সকাল গড়িয়ে দুপুর নামতেই মুর্শিদাবাদের প্রাচীন শহর আজিমগঞ্জের রোমান ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের উৎসব শুরু হয়ে গেল মহাসমারোহে। বিভিন্ন রঙের কাগজ ও আলো দিয়ে গির্জাকে সাজানোর পাশাপাশি গির্জার ভিতরে এবং বাইরের বিস্তীর্ণ এলাকা এলইডি লাইট ও চাইনিজ টুনি লাগানো হয়। গির্জা চত্বরের বাঁদিকেই তৈরি করা হয়েছে প্রভু যিশুর জন্মস্থান গো-শালা।
উপাসনার জন্য মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, নবগ্রাম ও সাগরদিঘি এই তিনটি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ও মনোভাবাপন্ন প্রায় ৭-৮ হাজার মানুষ জমায়েত হন। গির্জার সামনের তাঁবুতে কয়েক হাজার মানুষ উপাসনায় যোগ দেন। উপাসনা শেষে সারারাত ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বড়দিনে গির্জা সংলগ্ন এলাকাজুড়ে মেলা বসেছে। বিকেল থেকেই গির্জার পাশপাশি মেলার আয়োজন করা হয়েছে, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোক আসবে রাত হলেই বলেই জানাই মেলা কর্তৃপক্ষ।ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে আজিমগঞ্জ শহরের রোমান ক্যাথলিক গির্জায় দিন শুরু হতেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বড়দিন উৎসবে মেতে ওঠে। গির্জা সূত্রে খবর, বড়দিনের উৎসব উপলক্ষ্যে সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই গির্জা ও সংলগ্ন সমস্ত এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সঙ্গে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়। যিশুর জন্ম উপলক্ষে ধর্মীয় উপাসনা শুরু হয়েছে। চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত।উপাসনা শেষে নাচ, গান এবং যিশুখ্রিস্টের জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের উপর রচিত নাটক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।
গির্জার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফাদার কার্লোস মুর্মু বলেন, স্থানটি মূলত মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, নবগ্রাম ও সাগরদিঘি, এই তিন ব্লকের সংযোগস্থলে অবস্থিত। মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের কুসুমখোলা, মাহিনগর, বেণীপুর, ডাহাপাড়া, নবগ্রাম ব্লকের কিরীটেশ্বরী ও সাগরদিঘি ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত বেলডাঙা, ধাপাডাঙা এবং নিমগাছিয়া সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক হাজার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ উপাসনায় যোগ দেন। উপাসনা শেষে রাতভর বিভিন্ন গ্রাম থকে আসা আদিবাসীদের নাচ, গান ও নাটক সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ২৫ ডিসেম্বর শনিবার রাতেও উপাসনা হবে। বড়দিন উপলক্ষে আগামী ২৮ডিসেম্বর সোমবার পর্যন্ত মেলা চলবে। এদিকে জিয়াগঞ্জ শহরের প্রোটেস্টান্ট গির্জাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। গির্জার মাঠে ও রাস্তার দু’পাশে মেলাও বসেছে। বড়দিন উপলক্ষে দুই শহরের বাসিন্দারা উৎসবে মেতেছে।