সংক্ষিপ্ত

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার চন্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নবালিকা। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সে। আর ওই গ্রামেই নজরুলের চালের ব্যবসা রয়েছে। সেই ব্যবসাও পুরোপুরি অবৈধ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। খবর চাউর হতেই অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ওরফে ভোলা কে ধরে গণপিটুনি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন উত্তেজিত জনতা। ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় এএসআইয়ের। জখম হন এক সিভিক পুলিশও। এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
 
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার চন্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নবালিকা। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সে। আর ওই গ্রামেই নজরুলের চালের ব্যবসা রয়েছে। সেই ব্যবসাও পুরোপুরি অবৈধ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, রেশন দোকান থেকে পাওয়া চাল বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে নিজের গোডাউনে মজুত করে নজরুল। পরে তা চড়া দামে বিক্রি করে। গ্রামের বহু মানুষ কিছু টাকার লোভে নিজেদের চাল তার কাছে বিক্রি করে দেয়। 

শুক্রবার বিকেলে ওই গ্রামেরই এক দিনমজুর পরিবারের থেকে ৩৫০ টাকা দিয়ে চাল কেনার কথা বলেছিল নজরুল। এদিকে চাল সংগ্রহ করার পর সে জানায় কাছেই তার গোডাউন রয়েছে। সেখানে চাল মেপে দেখে তবেই সে টাকা দেবে। সে কারণে ওই দিনমজুরের নাবালিকা মেয়ে, এক ভাগ্নিকে সে সঙ্গে নিয়ে যায়। 

আরও পড়ুন- বাসের ধাক্কায় তছনছ বরযাত্রীর গাড়ি, ফলতায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত তিন শিশু সহ ৫

আরও পড়ুন- অস্বস্তি চরমে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে, আজ ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা, প্রবল বর্ষণ দুই বঙ্গে

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, গোডাউনে চালের টাকা দেওয়ার নাম করে দু'জনকে নিয়ে যাওয়ার পরে ভাগ্নিকে সে গোডাউনের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখে। এরপর নাবালিকাকে গোডাউনের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নজরুল। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে ফেরে ওই নাবালিকা। তখনই মেয়ের মুখ থেকে গোটা ঘটনার কথা জানতে পারে তার মা। এদিকে ঘটনার পরই ওই নাবালিকার হাতে ৩৫০ টাকা দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে নজরুল।

আরও পড়ুন- 'দরজা ভাঙার দৃশ্য অবাঞ্ছিত-উনি কি ক্রিমিনাল', সজল ঘোষের গ্রেফতারিতে সরব দিলীপ-শুভেন্দু-কুণাল

ঘটনার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালিকাকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। এদিকে খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। খুঁজে বের করা হয় নজরুলকে। এরপরেই শুরু হয় গণধোলাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইট বৃষ্টি। মাথা ফেটে যায় এএসআই অজিত মণ্ডলের। এক সিভিক পুলিশও জখম হন। ঘটনাস্থানে যান এসডিপিও। সঙ্গে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় র‍্যাফ। এরপর কোনওভাবে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে পুলিশ। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

YouTube video player